গত ২১ এপ্রিল শুরু হওয়া লালমনিরহাটের পাটগ্রাম ও হাতিবান্ধায় লালমনিরহাট-বুড়িমাড়ী রেলপথে রেলপথ অবরোধ অষ্টম দিনের মতো চলছে। এতে বন্ধ রয়েছে লালমনিরহাট-বুড়িমাড়ী রেলপথে চলাচল করা চার জোড়া ট্রেন। রেলপথ অবরোধের পরও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় গতকাল লালমনিরহাট জেলার একমাত্র মহাসড়কটি অবরোধ করে আন্দোলনকারীরা। এতে জেলার পাটগ্রাম-হাতিবান্ধা সড়কে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। বন্ধ হয়ে যায় বুড়িমারী স্থলবন্দরগামী পণ্যবাহী ট্রাকসহ সব যানবাহন চলাচল। এতে নষ্ট হচ্ছে বুড়িমারী স্থলবন্দরগামী গাড়িতে থাকা পণ্য। রেলপথের পাশাপাশি সড়ক পথেও যাত্রী ও যানবাহন চালকরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।
বুড়িমারী স্থলবন্দর থেকে ছেড়ে আসা ও বুড়িমারী স্থলবন্দরগামী হাজারো পণ্যবাহী ট্রাকসহ সব যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। বুড়িমারী স্থলবন্দর থেকে হাতিবান্ধা উপজেলার ভোটমারী পর্যন্ত সড়কে সৃষ্টি হয় যানজটের। যানজটে আটকে থাকা ট্রাকচালক মজিবুর হক বলেন, রাতে লালমনিরহাট থেকে বুড়িমারী স্থলবন্দরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছি। কিন্তু অবরোধের কারণে যাওয়া হয়নি। বৃষ্টিতে গাড়িতে থাকা পণ্যও নষ্ট হচ্ছে। পাটগ্রাম থেকে লালমনিরহাটগামী অনিন্দ বাসচালক হোসেন আলী বলেন, সড়ক অবরোধের কারণে যাত্রীরা বাস থেকে নেমে গেছে। এ ছাড়া যানজটে আটকে থাকার কারণে ফেরা হচ্ছে না বাস ডিপোতেও।
বুড়িমারী এক্সপ্রেস বুড়িমারী থেকে চালুর দাবি আন্দোলনের নেতা শফিউজ্জামান কাকন বলেন, ২০২৪ সালের ১২ মার্চ বুড়িমারী এক্সপ্রেস চালু হয়। ট্রেনটি চালু হলেও লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলার মধ্যে চার উপজেলার বাসিন্দারা সুবিধাবঞ্চিত হচ্ছে। পাটগ্রাম পৌর বিএনপির সভাপতি মোস্তফা সালাউদ্দিন ওপেল বলেন, একাধিকবার পাটগ্রাম ও হাতিবান্ধাবাসী আন্দোলন করার পর রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের পশ্চিমাঞ্চলের কর্মকর্তারা ট্রেনটি বুড়িমারী থেকে চালুর আশ্বাস দেয়। কিন্তু বাস্তবায়ন করেনি তারা। এবার আর কোনো আশ্বাস নয়, ট্রেন বুড়িমারী থেকেই চালু করতে হবে। তবে লোকোমোটিভ বা ইঞ্জিনসংকটের কারণে আন্দোলনকারীদের দাবি আপাতত মেনে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না, জানিয়েছেন লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ের পরিবহন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনি বলেন, পরিস্থিতি রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।