চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনা নদীতে চলছে জাটকা সংরক্ষণ অভিযান। এতে জেলেদের পাশাপাশি সহস্রাধিক মৎস্য আড়ত শ্রমিকও বেকার হয়ে পড়েছেন। জেলেরা সরকারিভাবে সহায়তা পেলেও, এবার আড়ত শ্রমিকরাও সহায়তার দাবি জানিয়েছেন। এ বছর জাটকা রক্ষা কর্মসূচি চলাকালে ৪৪ হাজার ৩৫ জন জেলেকে খাদ্য সহায়তা হিসেবে ৪০ কেজি করে চার ধাপে ১৬০ কেজি চাল বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। মৎস্য শ্রমিক লিটন ও সফিক জানান, ২০০৬ সাল থেকে চালু হওয়া জাটকা রক্ষা কর্মসূচিতে জেলেরা সরকারি সহায়তা পেলেও বছরের পর বছর আড়ত শ্রমিকরা রয়েছেন বঞ্চিত। নদীতে মাছ ধরা বন্ধ থাকলে আড়তে শ্রমিকদেরও আয় রোজগার বন্ধ হয়ে যায়। পরিবার নিয়ে কষ্টে জীবনযাপন করতে হয় তাদের। জেলেদের পাশাপাশি মৎস্য আড়ত শ্রমিকদেরও সরকারিভাবে সহায়তা দেওয়া জরুরি।
আড়তদার শাহজাহান শেখ ও সম্রাট জানান, মার্চ-এপ্রিল দুই মাস নদীতে জাল ফেলা বন্ধ থাকায় মাছঘাট ফাঁকা হয়ে পড়ে। অথচ নিয়মিত আড়তে এসে অলস সময় কাটান আড়তদার ও শ্রমিকরা। আড়ত শ্রমিকদেরও সরকারি সহায়তার আওতায় আনার দাবি মালিকদের। চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমিতির সভাপতি আবদুল বারী মানিক জানান, চাঁদপুরে ছোটবড় ১৬টি মাছঘাটে প্রায় ২০০ আড়ত রয়েছে। এসব আড়তে কাজ করছেন সহস্রাধিক শ্রমিক।
দৈনিক হাজিরায় কাজ করা এ শ্রমিকদের সরকারি সহায়তার আওতায় আনার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।