চট্টগ্রাম ইপিজেডে ভয়াবহ আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটির দুটি কারখানার শ্রমিকদের আপাতত এক সপ্তাহের ছুটি দেওয়া হয়েছে। এরপর তাদের বেতন ভাতা ও কারখানা চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে কী হবে শ্রমিকদের ভবিষ্যৎ, তারা ফের চাকরিতে যোগদান করতে পারবেন কি না, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। কারখানা দুটি কবে নাগাদ চালু করা সম্ভব হবে, ক্ষয়ক্ষতি কেটে উঠে মালিকপক্ষ ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন কি না, তা এখনো স্পষ্ট করে কেউ বলতে পারছেন না। সিইপিজেডের বেপজার নির্বাহী পরিচালক আবদুস সোবহান গতকাল রাতে শ্রমিকদের এক সপ্তাহের ছুটিতে রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আপাতত তদন্ত এবং ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ চলছে। এরপর কারখানা দুটি চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় অন্য কোনো ভবনে বিকল্প ব্যবস্থায় কার্যক্রম চালু করা যায় কি না, সেটি ভেবে দেখা হচ্ছে। এ নিয়ে মালিকপক্ষের সঙ্গে আমাদের আরাপ-আলোচনা চলছে। এদিকে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি ও আগুনের কারণ অনুসন্ধানে গঠিত দুটি তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। একটি কমিটিকে ৭ ও অন্য কমিটিকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ইপিজেডের ৫ নম্বর রোডে অবস্থিত ভবনটিতে আগুন লাগে। প্রায় ১৭ ঘণ্টার আগুনে ধসে পড়েছে আটতলা ভবনের ছাদসহ আরও কিছু অংশ। সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনায় ভবনটি এখন ‘চরম ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে ঘোষণা করেছে ফায়ার সার্ভিস।
ভবনের চারপাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ভাঙা কাচ, ধসে পড়া ছাদ ও দেয়ালের ইটের স্তূপ। লোহার গ্রিলগুলো তাপে পেঁচিয়ে গেছে। দূর থেকে মনে হয় বিধ্বস্ত একটি ভবন। মাত্র দুই দিন আগেও শ্রমিকদের কর্মচাঞ্চল্যমুখর ছিল আট তলা বিশালাকার ভবনটি। এখন সেখানে কেবলই আগুনের রেখে যাওয়া ধ্বংসস্তূপ।
ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানান, বর্তমানে ভবনে ডাম্পিংয়ের কাজ চলছে। এখনো কিছু কিছু জায়গায় ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে, সেগুলোও সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। কী কারণে আগুন লেগেছে, কী কী ক্ষতি হয়েছে, কী ত্রুটি ছিল তা ওই কমিটি নির্ধারণ করবে।
ক্ষতিগ্রস্ত কারখানা দুটির একটি অ্যাডামস ক্যাপ অ্যান্ড টেক্সটাইল, অন্যটি জিহং মেডিকেল প্রোডাক্টস-চিকিৎসা সরঞ্জম তৈরির কারখানা।