খুলনায় প্রকৃতিতে ঋতু পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে। শেষ রাতের দিকে পড়ছে হালকা শীত। এরই মধ্যে বাজারে আগাম শীতকালীন সবজি আসতে শুরু করেছে। কিন্তু সিন্ডিকেটে সব সবজির দাম চড়া। গতকাল নগরীর কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ২৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আমদানিকৃত কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ১৬০ টাকা। এ ছাড়া বেগুন ১৪০ টাকা, করলা ১০০ টাকা, ধনেপাতা ৩২০ টাকা, সিম ২০০ টাকা, ফুলকপি ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে কোনো মনিটরিং নেই। বিক্রেতারা কখনো টানা বৃষ্টিতে সবজি খেত নষ্ট, কখনো উৎপাদন কম, চাহিদা বেশি, আগাম উৎপাদনে খরচ বেশি নানা অজুহাতে দাম বৃদ্ধি করেছেন। খুচরা বাজারে কাঁকরোল, ঝিঙে, বরবটি, পাতাকপি, কুশি কচুরলতি ২০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটে হাত বদলে ৬ থেকে ৭ গুণ বেশি দামে সবজি বিক্রি হচ্ছে।
বেসরকারি চাকরিজীবী ইদ্রিস হাওলাদার জানান, প্রতিনিয়ত সবজির দাম বাড়ছে। বাজারে কোনো মনিটরিং নেই। পাশাপাশি দুই দোকানে একই সবজি দুই দাম চাওয়া হয়। খেয়াল-খুশিমতো দাম নির্ধারণ করেন বিক্রেতারা। প্রতিবাদ করলে নাজেহাল হতে হয়।
স্কুল শিক্ষক শহিদুল ইসলাম জানান, শুধু সবজি নয়, মাছ-মাংস-ডিমসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম ক্রমাগত বাড়ছে। ফলে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের জীবনযাপনে নাভিশ্বাস উঠেছে।
দাম নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত তদারকির কথা বলছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, খুলনায় বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখতে প্রায়ই অভিযান চালানো হয়। কারণ ছাড়া পণ্যের দাম বৃদ্ধি করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।