খুলনায় হঠাৎ আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েছে। সাত দিনে সাত লাশ উদ্ধার হয়েছে। এতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা। এর মধ্যে অভিমানে এক কিশোর, হতাশায় শিক্ষার্থী ও বেকার যুবক, বিষপানে মধ্যবয়সি আত্মহত্যা করেছেন। এ ছাড়া নদী থেকে অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। আত্মহত্যা কমাতে নিজ সন্তানদের প্রতি কাউন্সেলিংয়ে অভিভাবকদের নজর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা।
জানা যায়, সবশেষ গতকাল ট্যাংক রোডে পরিত্যক্ত ভবন থেকে আলামিন ওরফে সবুজ (৩৭) নামে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি রূপসার পিঠাভোগে সিরাজ মল্লিকের ছেলে। খুলনা থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, ২৪ সেপ্টেম্বর কাজের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে আর ফিরে যাননি। পরিবারের পক্ষ থেকে রূপসা থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। এর আগে ২৬ সেপ্টেম্বর খালিশপুর হাউজিং এলাকার বাড়ি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় ওসমান গনি (১৪) নামে কিশোরের লাশ উদ্ধার হয়। মেট্রোপলিটন পুলিশের তথ্যমতে গত ১০ মাসে নগরীতে ৬৫ জন আত্মহত্যা করেছে। ৫২ জনের বয়স ৩০ বছরের নিচে; যার মধ্যে ৪০ জন নারী।
এদিকে ২৪ সেপ্টেম্বর রেললাইনে ট্রেনের ধাক্কায় পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের পাওয়ার বিভাগের ছাত্র শাকিলের মৃত্যু হয়। ২৩ সেপ্টেম্বর খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিঁড়ি থেকে পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। তাকে বিষপান করা অবস্থায় রূপসা ব্রিজ টোল প্লাজার পাশ থেকে এনে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ২৩ সেপ্টেম্বর রূপসা নদীতে এক যুবকের ও ২৫ সেপ্টেম্বর দাকোপের চুনকুড়ি খেয়াঘাট থেকে নারীর লাশ উদ্ধার হয়। ২১ সেপ্টেম্বর বিষপানে আত্মহত্যা করেন পাইকগাছা ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি মোশারফ হোসেন। ব্যক্তিগত ক্ষোভ থেকে আত্মহত্যা করেন তিনি। সরকারি সুন্দরবন কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক প্রকাশ চন্দ্র অধিকারী বলেন, ‘কিশোর বয়সে নানান কারণে হতাশা তৈরি হয়, যা থেকে বিষণ্নতা দেখা দেয়। চিকিৎসা বা কাউন্সেলিং করা না হলে এ বিষণ্নতা আত্মহত্যার দিকে টেনে নিয়ে যায়।’