ফকিরহাট-মোল্লাহাট-চিতলমারী উপজেলা নিয়ে গঠিত বাগেরহাট-১ আসন। জাতীয় সংসদের ৯৫ নম্বর এই আসনটিতে আগামী নির্বাচনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পেতে মাঠে রয়েছেন সাতজন নেতা। তারা হলেন- সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ মুজিবুর রহমান, জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি প্রধান প্রকৌশলী (মেরিন) মাসুদ রানা, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট শেখ অহিদুজ্জামান দীপু ও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ কামরুল ইসলাম গোরা, জেলা বিএনপির সদস্য ও সাবেক ছাত্রনেতা মঞ্জুর মোরশেদ স্বপন, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক মশিউর রহমান যাদু, ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক মো. অহিদুজ্জামান। এসব নেতা দলীয় মনোনয়ন পেতে নির্বাচনি এলাকায় এখন গণসংযোগ, পথসভা ও ভোটারদের
সঙ্গে মতবিনিময়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী জেলা জামায়াতের সাবেক আমির ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য মাওলানা মশিউর রহমান খান। এ ছাড়া বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এস এম শাহদাত এলাকায় প্রচারণায় রয়েছেন।
শেখ মুজিবুর রহমান বলেন, দলীয় মনোনয়ন পেলে অবশ্যই নির্বাচনে জয়ী হয়ে মানুষের সুখ-দুঃখের সাথি হয়ে উন্নয়ন বঞ্চিত এলাকার দুর্নাম ঘুচিয়ে শিল্প স্থাপন ও বেকারদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে চাই।’ অ্যাডভোকেট শেখ অহিদুজ্জামান দীপু বলেন, নির্বাচিত হয়ে জলাবদ্ধতা দূর করে কৃষি ও মৎস্য খাতের উন্নয়নে খাল পুনঃখনন ও এলাকায় উৎপাদিত পণ্যভিত্তিক শিল্প স্থাপন করে স্থানীয় বেকারদের চাকরির ব্যবস্থা করা হবে।’ প্রধান প্রকৌশলী (মেরিন) মাসুদ রানা বলেন, এলাকার মানুষের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক থাকায় তারা আমাকে এমপি হিসেবে নির্বাচিত করার অপেক্ষায় রয়েছেন।
আমি দলীয় মনোনয়র পেলে সহজেই বিজয়ী হতে পারব। জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী মাওলানা মশিউর রহমান খান বলেন, বিলের জলাবদ্ধতা দূর করে হাজার হাজার হেক্টর অনাবাদী জমি চাষের আওতায় এনে কৃষি মৎস্য খাতের উন্নয়ন ও বেকারত্ব দূর করাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এস এম শাহদাত বলেন, আমি নির্বাচিত হলে এলাকার দরিদ্রতা দূর, সন্ত্রাস দমন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের বিপ্লব ঘটাতে চাই।