সরকার বেসরকারি রোগ নির্ণয় কেন্দ্রে করোনার নমুনার আরটি-পিসিআর টেস্টের দাম নির্ধারণ করেছে ২ হাজার টাকা। কিন্তু চিকুনগুনিয়া টেস্টের ফি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়নি। ফলে বেসরকারি রোগ নির্ণয় কেন্দ্রগুলো ৫ হাজার ১০০ টাকা পর্যন্ত নিচ্ছে। করোনার চেয়ে চিকুনগুনিয়া টেস্টের দাম ৫ গুণ বেশি।
সরকারিভাবে দাম নির্ধারণ করে না দেওয়ায় বেসরকারি রোগ নির্ণয় কেন্দ্রগুলো যার যেমন ইচ্ছা টেস্টের ফি নিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী রোগীদের গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা।
প্রসঙ্গত চট্টগ্রামে সরকারিভাবে আরটি-পিসিআর ল্যাবে চিকুনগুনিয়া টেস্ট করা হয় না, তবে অ্যান্টিজেন টেস্ট হচ্ছে। ফলে চিকুনগুনিয়ার উপসর্গ দেখা দিলে রোগীরা বেসরকারি ল্যাবে আরটি-পিসিআর টেস্ট করাচ্ছে। জানা যায়, সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনার প্রকোপ দেখা দেওয়ার পর ২ জুলাই বেসরকারি ল্যাবে করোনা ও ডেঙ্গু পরীক্ষার মূল্য নির্ধারণ করে দেয়। এর মধ্যে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট ফি ৫০০ টাকা এবং আরটি পিসিআর টেস্ট ফি ২ হাজার টাকা। কিন্তু এখন চিকুনগুনিয়া শনাক্ত হওয়ার হার বেড়েছে।
ফলে উপসর্গ দেখা দেওয়ার পর অনেকেই বেসরকারি ল্যাবে সবাই চিকুনগুনিয়া পরীক্ষা করাচ্ছে। কিন্তু একেকটি ল্যাবে একেক মূল্য। এর মধ্যে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে চিকুনগুনিয়ার আরটি-পিসিআর টেস্ট ফি ৪ হাজার টাকা, এপিক হেলথ কেয়ারে ৫ হাজার ১০০ টাকা, পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ৫ হাজার টাকা। এসব ল্যাবে ডেঙ্গু চিকুনগুনিয়া জিকার টেস্ট একসঙ্গে করা হচ্ছে।
চট্টগ্রামে ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ তৌহিদুল আলম বলেন, ‘সরকারিভাবে ডেঙ্গু-করোনা টেস্টের নমুনা ফি নির্ধারণ করা হলেও চিকুনগুনিয়ার ফি নির্ধারণ করা হয়নি। তবে চিকুনগুনিয়া টেস্টের ক্ষেত্রে ডেঙ্গুর টেস্টের মতো একই মূল্য নেওয়ার কথা। এ ব্যাপারে কোনো ভুক্তভোগী অভিযোগ দিলে আমরা বিষয়টি তদন্ত করব।’ তিনি বলেন, কারও অতিরিক্ত মূল্য নেওয়ার সুযোগ নেই।