কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাহেরচরে নারীর বিবস্ত্র ভিডিও ছড়ানোর ‘মূলহোতা’ শাহ পরানের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল কুমিল্লার আমলি আদালত-১১ এর বিচারক মমিনুল হক এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও মুরাদনগর থানার এসআই রুহুল আমিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ২৬ জুন রাতে মুরাদনগরের বাহেরচর গ্রামের এক নারী ধর্ষণের শিকার হন। এ সময় অভিযুক্ত ফজর আলী নামের এক যুবককে আটক করে পিটুনি দেন স্থানীয়রা। এ ঘটনায় ২৭ জুন মুরাদনগর থানায় ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি আইনে পৃথক দুটি মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী। পরে পুলিশ ধর্ষণের দায়ে রাজধানী থেকে ফজর আলীকে এবং পর্নোগ্রাফি মামলায় জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে বাহেরচর গ্রামের শাহপরান, সুমন, রমজান আলী, মো. অনিক ও মো. আরিফকে গ্রেপ্তার করা হয়। শাহপরান ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ফজর আলীর আপন ছোট ভাই। পর্নোগ্রাফি মামলায় মঙ্গলবার দুপুরে তিন দিনের রিমান্ড শেষে আলী সুমন, রমজান আলী, আরিফ ও অনিককে কুমিল্লার আদালতে হাজির করা হয়। তাদের মধ্যে দুজন পুলিশকে আদালতে স্বীকারোক্তি দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। তবে আদালতে বিচারকের সামনে হাজির হওয়ার পর তারা স্বীকারোক্তি দেননি। পরে চারজনকেই কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
এদিকে ধর্ষণের মামলায় প্রধান অভিযুক্ত ফজর আলী পুলিশ পাহারায় এখনো কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার সময় স্থানীয়রা তাকে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেয়। পুলিশ ২৯ জুন ভোরে ঢাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রুহুল আমীন জানান, ফজর আলীর শারীরিক অবস্থার এখনো তেমন উন্নতি হয়নি। তার অস্ত্রোপচার করতে হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। হাসপাতাল থেকে তাকে ছাড়পত্র দিতে অন্তত দুই মাস সময় লাগতে পারে।