রাজধানীর ভাটারায় তামান্না আক্তার নামে এক তরুণী হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় তার স্বামী কামরুজ্জামানকে (৩০) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রবিবার মধ্যরাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের সোনামুড়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল ডিএমপির মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশনস বিভাগের ডিসি মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এসব তথ্য জানান। ভাটারা থানা সূত্র জানায়, ৫ জুলাই ৯৯৯-এ এক ব্যক্তি ফোন করে জানান ভাটারার খিলবাড়িরটেকের একটি ছয় তলা ভবনের চতুর্থ তলায় তরুণীর লাশ পড়ে আছে। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেলে পাঠায়। তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে পুলিশ তরুণীর পরিচয় শনাক্ত করে। পরে তামান্নার মা ভাটারা থানায় হত্যা মামলা করেন।
তালেবুর রহমান জানান, তামান্না ও কামরুজ্জামান তিন বছর আগে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তারা গাজীপুর ও ঢাকার বিভিন্ন গার্মেন্টে কাজ করতেন। ৪ জুলাই রাত ৯টায় তারা খিলবাড়িরটেকের ওই ভবনে ভাড়া নেওয়া ফ্ল্যাটে ওঠেন। ওই রাতেই পারিবারিক কলহের একপর্যায়ে কামরুজ্জামান স্ত্রীকে গলা টিপে এবং বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যান। তামান্না ও কামরুজ্জামানের উভয়ের এটি দ্বিতীয় বিয়ে ছিল।