এবার পুলিশের সংস্কার দাবিতে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) নেতা-কর্মীরা। গতকাল নগরীর ষোলশহরে সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক জুবাইর হাসান এ ঘোষণা দেন। চট্টগ্রামের পটিয়ায় ছাত্রলীগ কর্মীকে গ্রেপ্তার, সড়ক অবরোধ, ওসির অপসারণের দাবিসহ সার্বিক বিষয় নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, পুলিশের অনিয়ম, ক্ষমতার অপব্যবহার দূর করতে দ্রুত সংস্কার প্রয়োজন। ওসি জায়েদ নূরকে অপসারণ না করে রেঞ্জ অফিসে সংযুক্ত করা হয়েছে। এটি তো আমাদের দাবি ছিল না।
আমাদের দাবি ছিল তাঁকে স্থায়ীভাবে অপসারণ করে বিচারের আওতায় আনা। আমরা বলেছিলাম চট্টগ্রামের এসপিকে অপসারণ করতে। পুলিশ সংস্কারবিষয়ক একটি সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিতে। আমরা বলেছিলাম এখন থেকে কোনো থানায় যদি চিহ্নিত আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ-যুবলীগকে সন্ত্রাসী হিসেবে আমরা পরিচয় করিয়ে দিই এবং তাকে যদি পুলিশ গ্রেপ্তার না করে; এ ব্যাপারে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যাতে সুস্পষ্টভাবে আইনি থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। এ দাবিগুলো আমরা উপস্থাপন করেছিলাম।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ইমন সৈয়দ, বাগছাসের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মহানগরের সদস্যসচিব নিজাম উদ্দিন, যুগ্ম সদস্যসচিব ইবনে হোসাইন জিয়াদ, মুখ্য সংগঠক তাওসিফ ইমরোজ প্রমুখ।
এর আগে মঙ্গলবার রাত ৯টায় পটিয়ার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে থেকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের এক কর্মীকে আটক করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা। থানায় নিয়ে গেলে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা না থাকায় পুলিশ গ্রেপ্তার করেনি। এ নিয়ে পুলিশ ও নেতা-কর্মীদের মধ্যে বাগ্বিত া হয়। পরে রাতেই দুই পক্ষের মধ্যে দুই দফা সংঘর্ষ হয়। এতে দুই পক্ষের ১৯ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করে উভয় পক্ষ। এ ঘটনার জেরে বুধবার পটিয়া থানা ঘেরাও ও ‘পটিয়া ব্লকেড’ কর্মসূচির ডাক দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।