নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে হত্যার অপরাধে আরও চারটি মামলা হয়েছে। এ মামলায় আসামি করা হয়েছে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক এমপি এ কে এম শামীম ওসমান, শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমান, ভাতিজা আজমেরী ওসমান, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শাহজালাল বাদলসহ ৩৯২ জনকে।
গতকাল মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনূর আলম। তিনি জানান, ২৭ ও ৩০ জুন মামলাগুলো করা হয়। এতে বাদী হয়েছেন মো. সিরাজুল ইসলাম (৫৮), মুনজিল হোসেন (৫০), মো. আল আমিন (২৩) এবং মো. ওয়াজেদ আলী (৪০)। উল্লিখিত আসামিদের নাম উল্লেখ করা হলেও অন্যরা অজ্ঞাত।
এজাহারগুলোয় উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে ১৯ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি বাসস্ট্যান্ডসংলগ্ন বৃষ্টি হার্ডওয়্যার দোকানের সামনে বাদী মুনজিল হোসেনের ছেলে মো. সুজন খান (২৯) উপস্থিত ছিলেন। সেদিন এ মামলার অজ্ঞাতনামা আসামিরা ঘটনাস্থলে এলোপাতাড়ি গুলি বর্ষণ করলে ভিকটিম সুজন খান গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
পরদিন বিকাল ৪টার সময় বাদী সিরাজুল ইসলামের ছোট ভাই আলাউদ্দিন (৩৬) আন্দোলনে যোগ দেন। ওইদিন বিক্ষোভকারীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মাদানিনগর অংশে বিক্ষোভ চালিয়ে গেলে তাদের দমাতে শামীম ওসমানের নেতৃত্বে অন্য আসামিরা এলোপাতাড়ি গুলি বর্ষণ করেন। এতে আলাউদ্দিন গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মৃত্যুবরণ করেন।
একই দিন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের সামনে বাদী আল আমিনের ছোট ভাই ভিকটিম আবদুস সালাম গুলিবিদ্ধ হন। গুলিবিদ্ধের দুই দিন পর ডাচ্-বাংলা ভবন থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। একই দিন মহাসড়কের ডাচ্-বাংলা ব্যাংক ভবনের সামনে মামলার বাদী ওয়াজেদ আলীর ছোট ভাই ভিকটিম আবদুস সালাম গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।