বাংলাদেশ নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান বলেন, প্রাণপ্রিয় মাতৃভূমির স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সর্বোপরি ভূরাজনৈতিক প্রয়োজনে শক্তিশালী নৌবাহিনীর ভূমিকা অনস্বীকার্য। বিশাল সমুদ্র অঞ্চলের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে, যুদ্ধ ও শান্তিকালীন বিভিন্ন কর্মকান্ড এবং উদ্ধার অভিযানে বাংলাদেশ নৌবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলছে। তিনি বলেন, বিশাল সমুদ্র এলাকার সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং ব্লু-ইকোনমিসংক্রান্ত কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে নৌবাহিনীর কর্মপরিধি ও দায়িত্ব বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু তাই নয়, দেশের গন্ডি পেরিয়ে নৌবাহিনী আজ আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে চলেছে।
গতকাল খুলনা নেভাল বার্থে দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত ডাইভিং বোট পানকৌড়ি, গাংচিল, মাছরাঙ্গার কমিশনিং অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
নৌবাহিনী প্রধান আরও বলেন, ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীনতা লাভের পর একটি শক্তিশালী নৌবাহিনী গঠনের লক্ষ্যে অল্পকিছু অকুতোভয় নৌসদস্যকে নিয়ে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ নৌবাহিনী আজ একটি পূর্ণাঙ্গ ও ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনীতে পরিণত হয়েছে। কমিশনিং হওয়া বোটগুলো অধিনায়কদের নিকট কমিশনিং ফরমান তুলে দেন নৌপ্রধান এবং রীতি অনুযায়ী আনুষ্ঠানিক নামফলক উন্মোচন করেন।