‘আমার বিরুদ্ধে কোনো রাষ্ট্রদূতের ফরমাল অভিযোগ নেই। যে রাষ্ট্রদূতের কথা বলা হচ্ছে, তিনি যদি ক্ষতিগ্রস্ত হন বা ভিকটিম হন আদালতে এসে প্রমাণ দিয়ে যাক। মিথ্যা মামলা চালিয়ে রাষ্ট্র ও আমার বা সেই রাষ্ট্রদূতের কোনো লাভ হচ্ছে না।’ গতকাল রাজধানীর ধানমন্ডি থানার প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে করা মামলায় জব্দ থাকা মোবাইল ফোন, আইপ্যাড ও পাসপোর্ট নিজ জিম্মায় চেয়ে আবেদনের ওপর শুনানির পর এ দাবি করেছেন আলোচিত মডেল মেঘনা আলম।
এদিন ঢাকা মহানগর হাকিম এম এ আজহারুল ইসলাম মেঘলার জিম্মার আবেদনের বিষয়ে পরে আদেশ দেবেন বলে জানান।
শুনানি শেষে মেঘনা আলম বলেন, গণমাধ্যমে একটা মানুষকে নিয়ে নিউজ করার আগে তার আইডেন্টিটি স্পেসিফিক করা গুরুত্বপূর্ণ। মিডিয়ায় মডেল বলে উপস্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু প্রোফেশনাল আইডেনটিটি হচ্ছে আমি একজন পলিটিক্যাল লিডারশিপ ট্রেইনার।
কেন মডেল পরিচয় দিতে চান না জানতে চাইলে ‘মিস আর্থ বাংলাদেশ’ বিজয়ী মেঘনা আলম বলেন, আমাদের সমাজে মডেলদের নিয়ে বিভিন্ন ভুল ধারণা আছে। যে কারণে মানুষ ধরেই নেয় মডেলরা কেমন হয়। আমি এ পেশাকে সম্মান জানিয়ে বলছি, আমার পরিচয় প্রথমত মডেল না। ২০২০ সালে আমি মিস আর্থ বাংলাদেশ জয়ী হয়ে বাংলাদেশকে রিপ্রেজেন্ট করি। একজন মিস বাংলাদেশকে এভাবে মিথ্যা মামলায় হেনস্তা করা শুধু বাংলাদেশের জন্য নয় বৈশ্বিকভাবে লজ্জার। তিনি আরও বলেন, গত ৯ এপ্রিল আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলা ভুল হবে। আমাকে অপহরণ করা হয়েছিল। কারণ গ্রেপ্তার করার একটি আইনি প্রক্রিয়া থাকে, সেটা মানা হয়নি। আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ, মামলা বা ওয়ারেন্ট ছিল না। আইনের লোক হোক বা না হোক আমার বাসায় এসে তাৎক্ষণিকভাবে হামলা চালিয়ে জোর করে নিয়ে যায়। এটাকে আইনি ভাষায় অপহরণ বলে।