সরাসরি রেল যোগাযোগ না থাকায় মোংলা বন্দর ব্যবহার করতে নেপালের ব্যবসায়ীদের তুলনামূলক বেশি ব্যয় হয়। সে কারণে তারা আগ্রহী হয় না। এ কারণে মোংলা বন্দরের সঙ্গে সরাসরি রেল যোগাযোগ চায় নেপাল।
মোংলা বন্দর ও আন্তদেশীয় রেলপথের মাধ্যমে নেপালের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন হলে এটি দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক করিডর হতে পারে। পাশাপাশি খুলনাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনীতি আরও গতিশীল হবে।
খুলনায় ‘নেটওয়ার্কিং ইভেন্ট অন নেপাল-বাংলাদেশ কো অপারেশন : ডায়নামিকস অব ট্রেড ট্যুরিজম অ্যান্ড কানেকটিভিটি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ীদের আলোচনা এসব বিষয় উঠে আসে। শুক্রবার রাতে ঢাকাস্থ নেপাল দূতাবাসের আয়োজনে এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারী উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, নেপাল ও বাংলাদেশ উভয় দেশেই রয়েছে চমৎকার প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। এই দুই দেশের মধ্যে পর্যটন খাতে পারস্পরিক সহযোগিতার বড় সুযোগ রয়েছে।খুলনার ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, মোংলা বন্দর ও রেলপথ ব্যবহার করে নেপালের সঙ্গে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বৃদ্ধি সম্ভব। তারা সুন্দরবনকে ঘিরে আন্তর্জাতিক পর্যটন সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে দুই দেশের মধ্যে যৌথ উদ্যোগের ওপর জোর দেন। আয়োজকরা জানান, এ ধরনের আয়োজন দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে যোগাযোগ ও অংশীদারত্ব বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।