রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় চলন্ত মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনের ছাদে ছিনতাইকারীদের হামলায় রাকিব মিয়া (২১) নামে এক যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তার মাথায় ৮ থেকে ১০টি সেলাই দেন।
শনিবার (৮ নভেম্বর) রাকিবের মামাতো ভাই মোরসালিন ইসলাম জানান, তাদের বাড়ি কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া এলাকায়। শুক্রবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তারা দুজন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা থেকে ঢাকাগামী মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনে ওঠেন। ছুটি থাকায় ট্রেনে প্রচণ্ড ভিড় ছিল। আসন না পেয়ে তারা ট্রেনের ছাদে ওঠে ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনের উদ্দেশে রওনা দেন। কমলাপুর থেকে রাতে যশোরগামী আরেকটি ট্রেনে ওঠার পরিকল্পনা ছিল তাদের, কারণ রাকিবের বিদেশগমন সংক্রান্ত কিছু কাজ ছিল যশোরে।
তিনি আরও জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ট্রেনটি তেজগাঁও রেলস্টেশনের কিছু আগে পৌঁছালে হঠাৎ তিনজন ছিনতাইকারী তাদের ঘিরে ধরে। তারা রাকিবের কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা ও পাসপোর্ট ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। রাকিব বাধা দিলে তারা তাকে মারধর করে এবং চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে নিচে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়।
মোরসালিন ইসলাম জানান, ছিনতাইকারীরা রাকিবের টাকা ও মোবাইল নিয়ে যায়, তবে পাসপোর্ট নিতে পারেনি। পরে তার মোবাইল ফোনও ছিনিয়ে নেওয়া হয়। তিনি কৌশলে এক বগি পেরিয়ে অন্য বগিতে গিয়ে আশ্রয় নেন। ট্রেন কিছুটা ধীরগতিতে এলে তিনি বগির ভেতরে প্রবেশ করে যাত্রীদের কাছে সাহায্য চান।
ঢাকা রেলওয়ে থানা (কমলাপুর) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন জানান, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রেলওয়ে এলাকায় অপরাধীদের বিতাড়িত করতে পুলিশ নিয়মিত অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই বিমানবন্দর রেলস্টেশন থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বাঁশি বাজিয়ে ট্রেনের ছাদে থাকা যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। তাহলে তারা দুইজন কেন নামেননি, সেটাও ভাবার বিষয়।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন