নানা কারণে বিশ্বের বিভিন্ন শহরে দিন দিন বাড়ছে বায়ুদূষণ। দীর্ঘদিন ধরে মেগাসিটি ঢাকাও বায়ুদূষণের কবলে। বেশ কিছু দিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় প্রথমদিকেই রয়েছে রাজধানী ঢাকা। তবে সম্প্রতি শহরটির বায়ুমানের কিছুটা উন্নতি হয়েছে। বিশেষ করে গত কয়েকদিন ধরে ঢাকার বায়ুমান নিয়ে ইতিবাচক খবরই পাওয়া যাচ্ছে। আজ বুধবার রাজধানী ঢাকার বাতাসের মান মাঝারি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
বুধবার (১৩ আগস্ট) সকাল ৭টা ৪০ মিনিটের দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের তথ্যানুযায়ী- ৫৬ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ৫৩তম অবস্থানে রয়েছে ঢাকা। বায়ুমানের এ স্কোর দূষণের দিক থেকে মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়।
বুধবার একই সময়ে ১৭৬ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা। এছাড়া ১৪০ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ। ইসরাইলের জেরুজালেম শহর, ১২২ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে, ১২১ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর এবং পঞ্চম অবস্থানে থাকা ইরাকের বাগদাদের স্কোর ১১৫।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ-এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদরোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়। এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ