অবশেষে টানা ৭ দিন বন্ধ থাকার পর জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে জরুরি বিভাগ চালু করা হয়েছে। বুধবার সকাল পৌনে ৯টা থেকে হাসপাতালটিতে সীমিত পরিসরে সেবাদান কার্যক্রম চালু হয়।
এর আগে, গত ২৯ মে থেকে ‘নিরাপত্তা শঙ্কায়’ হাসপাতালটিতে সেবাদান কার্যক্রম বন্ধ রেখেছিলেন চিকিৎসক-কর্মকর্তারা।
সরেজমিন বুধবার সকালে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে প্রায় শতাধিক সেবা প্রত্যাশীদের হাসপাতালে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। যাদের বেশিরভাগই নতুন রোগী। বাকিরা বিভিন্ন সময়ে হাসপাতালটিতে চিকিৎসা নিয়েছেন।
সেবাদান কার্যক্রম চালুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জানে আলম বলেন, আজ জরুরি বিভাগের সেবা চালু হয়েছে। তবে জরুরি চিকিৎসার পর কারও বাড়তি চিকিৎসার প্রয়োজন হলে আপাতত সেটি দেওয়া হবে না। সবেমাত্র হাসপাতাল খুলেছে। প্রথমে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করা হবে।
গত ২৯ মে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত রোগীদের সঙ্গে চিকিৎসক-কর্মচারীদের হাতাহাতি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় নিরাপত্তা শঙ্কায় হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা বন্ধ রেখে কর্মবিরতি পালন করছিলেন চিকিৎসক-কর্মচারীরা।
এরই ধারাবাহিকতায় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অচলাবস্থা নিরসনে গত ৩১ মে এক বিজ্ঞপ্তিতে হাসপাতালটিতে প্রতিনিধি দল পাঠানোর কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
বিডি প্রতিদিন/এমআই