চট্টগ্রামে শোক ও শ্রদ্ধায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের স্মরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা ও সংগঠনের উদ্যোগে শহিদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, জিয়ারত, মিছিল, সভা-সমাবেশসহ নানা আয়োজন করা হয়।
গতকাল সকালে নগরীর দামপাড়ায় গরীবুল্লাহ শাহ মাজারে শহিদ মোহাম্মদ আলমের কবর ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর কবর জিয়ারত করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
নগরীর বাকলিয়ার রসুলবাগ আবাসিক এলাকায় শহিদ শহীদুল ইসলামের কবরে সরকারি বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে।
শ্রদ্ধা নিবেদনের পর চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, জুলাই আন্দোলনের শহিদদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না। তাদের আত্মত্যাগের আদর্শই গণতন্ত্রের পথে ফিরে যাওয়ার লড়াইয়ে আমাদের পথ দেখাবে। আমরা অনেকবার অভ্যুত্থান দিবস পালন করেছি, আর নয়। এবার আমাদের স্বপ্ন একটি দুর্নীতিমুক্ত, মৌলিক অধিকার ও গণতন্ত্রসম্পন্ন বাংলাদেশ, এটা বাস্তবায়ন করতেই হবে।
এসব কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা সরোয়ার কামাল, প্রধান প্রকৌশলী আনিসুর রহমান, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা কিসিঞ্জার চাকমা, প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরী, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইমাম হোসেন রানা, আইন কর্মকর্তা মহিউদ্দিন মুরাদ প্রমুখ। এরপর অভ্যুত্থানে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন মেয়র। এছাড়া নগরীর টাইগারপাসে চসিক কার্যালয়ে মিলাদ, দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে, গতকাল সকালে নগরীর বাকলিয়ার রসুলবাগ এলাকায় মোহাম্মদ আলমের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু করে জেলা প্রশাসন। প্রথমে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. জিয়াউদ্দিন ও জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম শ্রদ্ধা জানান। এরপর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজ, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আহসান হাবীব পলাশ, পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সানতু শ্রদ্ধা জানান। শ্রদ্ধা জানানো শেষে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তারা। পরে শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। পরে সরকারি আরও বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
শ্রদ্ধা নিবেদনের পর জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বলেন, যে প্রত্যয় নিয়ে ছাত্র-জনতা জীবন দিয়েছে। সেটা বাস্তবায়নে সরকার বদ্ধপরিকর। সরকার জুলাই যোদ্ধাদের পাশে আছে।
দুপুরে সার্কিট হাউসে জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের সদস্য ও আহতদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ‘জুলাই অনির্বাণ’ ও ‘দ্যা আর্ট অব ডেমোক্রেসি’ নামে দুইটি চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল