গত ১৬ বছরে উন্নয়নের নামে চট্টগ্রাম নগরকে জলাবদ্ধতার নগরীতে পরিণত করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রামের সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, আইন আইনের জায়গায় থাকবে। এখন থেকে আমরা কঠোর হবো। দুর্ভোগ থেকে রেহাই পেতে হলে আইনের সঠিক বাস্তবায়ন করতে হবে।
শনিবার নগরীর বাকলিয়ার ইছহাকের পুল এলাকার অছি মিয়া দোস্ত ভবনের মাঠে ‘সবার সহযোগিতায় বির্জাখাল পাবে প্রাণ’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর উদ্যোগে বির্জাখাল খনন কার্যক্রম ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, শপথ নেওয়ার পর থেকে জলাবদ্ধতা নিরসনে আমি মনে করেছি সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। চট্টগ্রাম নগরী কারো একার শহর নয়। সবার দেশ ও শহরের প্রতি ভালোবাসা থাকতে হবে, তাহলেই দেশ ও শহর সমৃদ্ধ হবে। জলাবদ্ধতা নিরসনে এই উদ্যোগের জন্য আমি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে স্বাগত জানাচ্ছি।
জামায়াতে ইসলামীর মহানগরী আমীর শাহজাহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে, সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নুরুল করিম, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা কমান্ডার আই ইউ এ চৌধুরী, জামায়াতে ইসলামী মহানগরী নায়েবে আমীর ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ, মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার মানজারে খোরশেদ, ইঞ্জিনিয়ার মোমিনুল হক, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মুহাম্মদ উল্লাহ, ফয়সাল মুহাম্মদ ইউনুস, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী, ডা. এ কে এম ফজলুল হক প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে শাহজাহান চৌধুরী বলেন, নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনসহ সব ধরনের উন্নয়নে সিটি কর্পোরেশনকে আমরা সর্বোচ্চ সহায়তা করব। হিংসা, বিদ্বেষ, পরশ্রীকাতরতা ভুলে আমরা মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। আমাদের কয়েকটা বাজারের দায়িত্ব দিন। সেই বাজারগুলোকে জামায়াতে ইসলামীর কর্মীরা চায়নার শহরের মতো সুন্দর বাজার উপহার দেবে। পাশাপাশি ১০টি স্কুলের কাজ করার সুযোগ দিন। সেগুলোর আঙ্গিনাসহ আশপাশের এলাকা জামায়াতের কর্মীরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে দেবে, ইনশাআল্লাহ।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল