‘চট্টগ্রাম কবিতার শহর’ এরকম প্রতিপাদ্য সামনে রেখে তৃতীয়বারের মতো শুরু হলো তিনদিনের বর্ণিল কবিতা উৎসব। দেশের অন্যতম আবৃত্তি সংগঠন ‘তারুণ্যের উচ্ছ্বাস’ আজ বৃহস্পতিবার থেকে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এ কবিতা উৎসবের আয়োজন করেছে।
কবিতাময় এ উৎসবের অনুষ্ঠানমালায় থাকছে কবিতার মিছিল শিরোনামের শোভাযাত্রা, একক ও দলীয় আবৃত্তি, কবি-ছড়াকার কণ্ঠে কবিতা ও ছড়াপাঠ, শিশু উৎসব, আবৃত্তি বিষয়ক গ্রন্থ প্রকাশ, কবিতার গান, উৎসব সংকলন প্রকাশ, নিবেদিত প্রযোজনা ও সুহৃদ সম্মিলনী।
উৎসবে দেশের নন্দিত কবি-ছড়াকার-আবৃত্তিশিল্পীরা ছাড়াও অংশ নিচ্ছেন একঝাঁক তরুণ ও প্রতিশ্রুতিশীল শিল্পী। উৎসবটি উৎসর্গ করা হয়েছে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শান্তনু বিশ্বাসের স্মৃতির প্রতি। বৃহস্পতিবার বিকেলে উৎসব উদ্বোধন করেন দেশবরেণ্য কবি হেলাল হাফিজ।
তারুণ্যের উচ্ছ্বাসের সভাপতি কবি ভাগ্যধন বড়ুয়ার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন দেশবরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আতাউর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি ডা. একিউএম সিরাজুল ইসলাম, কবি মোহন রায়হান, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও তারুণ্যের উচ্ছ্বাস কবিতা উৎসব উদযাপন পরিষদ চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান, চসিক কাউন্সিলর মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, সংস্কৃতি সুহৃদ ডা. আলী আজগর চৌধুরী এবং জনসন অ্যান্ড জনসন ভিশন বাংলাদেশের মার্কেটিং ম্যানেজার দীপ নারায়ন চৌধুরী।
উদ্বোধনী দিনের আয়োজনে রয়েছে শান্তনু বিশ্বাসকে নিবেদিত প্রযোজনা। একক ও দলীয় আবৃত্তি, কবিতাপাঠ ও ছড়াপাঠ। উৎসবের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার আয়োজন শুরু হবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে। সকালে রয়েছে কবি-ছড়াকার-আবৃত্তিশিল্পী-সংস্কৃতিকর্মী সম্মিলনী, একক ও দলীয় আবৃত্তি, কবিতাপাঠ ও ছড়াপাঠ। এদিন বিকেলে রয়েছে কবিতার মিছিল শিরোনামের শোভাযাত্রা। এরপর রয়েছে ‘তারুণ্যের উচ্ছ্বাসের সমৃদ্ধ পথচলার একযুগ’ শিরোনামের কথামালা।
এতে প্রধান অতিথি থাকবেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম। এদিন সন্ধ্যার আয়োজনে আবৃত্তি পরিবেশন করবেন দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আমন্ত্রিত বরেণ্য ও জনপ্রিয় আবৃত্তিশিল্পীরা। আবৃত্তি পরিবেশন করবেন ভারতের দিল্লী এবং ত্রিপুরা থেকে আমন্ত্রিত শিল্পীরাও। উৎসবের সমাপনী দিন শনিবার থাকছে শিশু উৎসব। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়। এদিন একক ও দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করবে বোধন আবৃত্তি পরিষদ, দৃষ্টি চট্টগ্রাম, উচ্চারক আবৃত্তি কুঞ্জ, শৈশব বাচিক চর্চা কেন্দ্র, অযান্ত্রিক বাচিক চর্চালয়, ছায়াতরু আবৃত্তি, চারুকলা অনুশীলন কেন্দ্র, একুশ আবৃত্তি ও মানবিকতা চর্চা কেন্দ্র এবং তারুণ্যের উচ্ছ্বাসের শিশুশিল্পীরা। এরপর আবৃত্তি পরিবেশন করবেন ভারতের কলকাতা থেকে আমন্ত্রিত শিল্পীরা। তিনদিনের এ উৎসবের সহযোগিতায় রয়েছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ভারতীয় সহকারি হাই কমিশন চট্টগ্রাম, সাওল হার্ট সেন্টার, ম্যাক্স গ্রুপ এবং এসকেএফ।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক
