পৃথিবীর অষ্টম সর্বোচ্চ চূড়া ‘মানাসলু’ জয় করেছেন বাংলাদেশের পর্বতারোহী তৌফিক আহমেদ তমাল।
বুধবার রাত ৩টায় এই পর্বতশৃঙ্গ জয় করেছেন তিনি। মানাসলুর চূড়ায় পৌঁছে তমাল বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা উত্তোলন করেন।
এই অভিযানের আয়োজক আল্টিটুইড হান্টারের প্রতিষ্ঠাতা ও অ্যাডমিন ফজলুর রহমান শামীম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ১ সেপ্টেম্বর পৃথিবীর অষ্টম উচ্চতম এই পর্বত জয়ের লক্ষ্যে রওনা দেন তমাল। এ উপলক্ষ্যে রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তার হাতে জাতীয় পতাকা তুলে দেন বাংলাদেশের প্রথম নারী এভারেস্ট জয়ী নিশাত মজুমদার।
তৌফিক আহমেদ গত ১৪ বছর ধরে দেশ-বিদেশে নিয়মিত ট্রেকিং ও উচ্চ পর্বতারোহণের সঙ্গে যুক্ত। ভারতের নেহেরু ইনস্টিটিউট অব মাউন্টেনিয়ারিং থেকে তিনি মৌলিক ও উচ্চতর পর্বতারোহণ প্রশিক্ষণও নিয়েছেন তিনি। তিনি ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার মিটারের সাতটি পর্বত এবং ৬৫০০ মিটার উঁচু দুটি পর্বত জয় করেন। তার উল্লেখযোগ্য অভিযানের মধ্যে রয়েছে, প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে শীতকালীন অভিযানে থার্পু চুল্লি জয়, প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ভাগীরথী-২ (৬৫১২ মিটার) জয়। এছাড়া, গত বছর বিশ্বের অন্যতম কঠিন শৃঙ্গ মাউন্ট আমা দাবলাম (৬৮১৪ মিটার) জয় করেন তমাল।
উল্লেখ্য, ‘মানাসলু’ পৃথিবীর অষ্টম উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ। এর উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৮,১৬৩ মিটার (২৬,৭৮১ ফুট)। এটি পশ্চিম-মধ্য নেপালের নেপালি হিমালয়ের অংশ মানসিরি হিমালে অবস্থিত। ১৯৫৬ সালের ৯ মে এতে প্রথম আরোহণ করেন তোশিও ইমানিশি এবং গ্যালজেন নরবু। তারা একটি জাপানি পর্বতারোহী দলের সদস্য ছিল। এরপর ১৫ বছর আর কোনো পর্বতারোহী সেখানে পৌঁছাতে পারেননি। ১৯৭১ সালে আবারও জাপানি পর্বতারোহীদের একটি দল মানাসলু পর্বত জয় করে। ১৯৯৭ সালে মার্কিন পর্বতারোহীরা মানাসলুর চূড়ায় উঠতে সক্ষম হন। উচ্চতায় অষ্টম হলেও বিশ্বের প্রাণঘাতী পর্বতগুলোর মধ্যে এর অবস্থান চতুর্থ।
বিডি প্রতিদিন/কেএ