ফেনীর জয়নাল হাজারী কলেজে নতুন ইউনিফর্ম পরিবর্তনের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের না জানিয়ে জলবায়ু পরিস্থিতির কারণ দেখিয়ে নতুন পোশাক নির্ধারণ করে—ছেলেদের জন্য অফ-হোয়াইট এবং মেয়েদের জন্য আকাশী কামিজ।
বর্তমান এবং প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা জানায়, কলেজ কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। তাদের দাবি, হাজারী কলেজে আজ পর্যন্ত কোনো শিক্ষার্থী হিটস্ট্রোকের শিকার হয়নি এবং দীর্ঘদিনের কালো ড্রেসই হাজারীয়ান পরিচয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যার মধ্যে কলেজের ঐতিহ্য, আবেগ এবং অহংকার জড়িয়ে আছে।
কালো ড্রেস বহাল রাখার দাবিতে শিক্ষার্থীরা গত ১১ সেপ্টেম্বর কলেজের অধ্যক্ষের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করার উদ্যোগ নেয়। তবে অভিযোগ উঠেছে, অধ্যক্ষ ক্যাম্পাস ত্যাগ করার কারণে শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি জানাতে পারেননি। পরবর্তীতে ১৪ সেপ্টেম্বর পুনরায় স্মারকলিপি দেওয়ার চেষ্টা করলে অধ্যক্ষ মিটিং-এর কারণে তা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানান।
গতকাল মঙ্গলবার শিক্ষার্থীরা আবারও অধ্যক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসে, তবে তিনি কোনো স্পষ্ট সিদ্ধান্ত না দিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যান। কখনো বলেন, এটি কমিটির সিদ্ধান্ত, আবার কখনো বলেন, পরে জানানো হবে।
কলেজের অধ্যক্ষ মো. এনামুল হক এই বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের শারীরিক সুরক্ষা এবং জলবায়ু পরিস্থিতির কারণে পোশাক পরিবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। এ বিষয়ে বোর্ড ও পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।’
অন্যদিকে, বর্তমান এবং প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে, যারা ড্রেস পরিবর্তনের প্রতিবাদ করছে তাদের ওপর নানা ধরনের চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। তাদের একমাত্র দাবি, কলেজের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যবাহী কালো ড্রেস ভবিষ্যতেও বহাল রাখতে হবে।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ