তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ইউরোপীয় দেশগুলোর ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার সাম্প্রতিক উদ্যোগগুলিকে স্বাগত জানিয়েছেন। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই এ খবর প্রকাশ করেছে।
এরদোয়ান বলেন, বিশেষ করে ফ্রান্স ও ব্রিটেনের মানবিক প্রতিক্রিয়াগুলো অত্যন্ত মূল্যবান। ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের স্বীকৃতির জন্য গৃহীত প্রতিটি পদক্ষেপ আমরা সাধুবাদ জানাই।
তিনি আরও বলেন, গাজায় চলমান নৃশংসতা সামনে রেখে কেউ চুপ থাকতে পারে না, যেখানে শিশুদের ক্ষুধার্ত অবস্থায় মারা যেতে হচ্ছে এবং খাদ্যের সন্ধানে থাকা বেসামরিক নাগরিকদের ইচ্ছাকৃতভাবে গুলি করা হচ্ছে।
ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে সর্বশেষ পর্তুগাল ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশটি ‘ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে বিবেচনা করছে, যা সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিতব্য জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে সম্পন্ন হতে পারে।’
এর আগে, কানাডার প্রেসিডেন্ট মার্ক কার্নি এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, গাজায় মানবিক দুর্দশা অত্যন্ত সংকটজনক এবং দ্রুত অবনতি হচ্ছে। কানাডা আগামী সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। তবে এই স্বীকৃতি কিছু শর্তের ওপর নির্ভর করবে, যেমন—ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের শাসন ব্যবস্থায় মৌলিক সংস্কার আনা, হামাসকে বাদ দিয়ে ২০২৬ সালের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন আয়োজন এবং ভূখণ্ডের নিরস্ত্রীকরণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া।
এর আগে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সেপ্টেম্বর মাসে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারও ইসরাইল কিছু শর্ত পূরণ না করলে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্য দেশের মধ্যে বর্তমানে প্রায় ১৫০টি দেশই আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এই পদক্ষেপগুলো মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতা ও মানবাধিকার রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
বিডি-প্রতিদিন/শআ