ভিনদেশি ফল আঙুর। আঙুরে সাত শতাংশ কার্বোহাইড্রেট আর ৯২ শতাংশই জলীয় অংশ রয়েছে। এর মধ্যে প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেল আছে। এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, ভিটামিন সি। বছরজুড়ে এই ভিনদেশি ফলটির কদর থাকে। ভিনদেশি এই ফলের চাষ হচ্ছে দেশেও। বাণিজ্যিকভাবে আঙুর চাষে সফল হয়েছেন চাঁদপুরের উদ্যোক্তা কামরুজ্জামান প্রধানিয়া। তার সংগ্রহে ১৮ দেশের ৮৫টি জাতের আঙুর গাছ রয়েছে। চাঁদপুর সদর উপজেলার চাঁদপুর-মতলব পেন্নাই সড়কের কালিভাংতি এলাকায় প্রধানিয়া এগ্রোতে তিনি আঙুর চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।
জানা যায়, ফলন হয়েছে দারুণ। বাগান থেকে ৫০ কেজি আঙুর বিক্রিও করেছেন তিনি। গণমাধ্যমকে দেওয়া কামরুজ্জামানের সাক্ষাৎকার থেকে জানা যায়, তিনি ২০১৯ সাল থেকে আঙুর নিয়ে কাজ করছেন। ২০২২-২৩ সালে বেশির ভাগ বিদেশি জাতের আঙুর সংগ্রহ করেন। ২০২৪ সালে তার ছাদবাগানে ভালো ফলন হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে একই সালের জুনে বাগানে এ চাষ শুরু করেন। এখানে ছাদবাগানের থেকে বেশি ফলন পাওয়ায় তিনি উৎসাহী হয়ে ওঠেন। তিনি দেশি-বিদেশি বিভিন্ন জাত সংগ্রহ করেন। বিদেশি জাতগুলো ইউরোপ থেকে সংগ্রহ করেছেন বলে জানা যায়। অক্টোবর-নভেম্বর মাসে আঙুর গাছ ছাঁটাই করলে মার্চ-এপ্রিলে ফল পাওয়া যায়। এরপর আবার শীতের সময়ে ফলন আসে। বেকারত্ব দূর করতে তার বাগান থেকে চারা নিয়ে অনেকেই আঙুর চাষ শুরু করেছেন। অনলাইনের দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তার বাগান থেকে আঙুরের চারা সংগ্রহে আগ্রহ দেখাচ্ছেন অনেকেই। কেউ কেউ সরাসরি এসে উপস্থিত হচ্ছে তার বাগানে। আঙুর দো-আঁশযুক্ত লালমাটি, জৈবিক সার সমৃদ্ধ কাঁকর জাতীয় মাটি এবং পাহাড়ের পাললিক মাটিতে আঙুর চাষ ভালো হয়। কম পরিশ্রম ও কম খরচে লাভজনক হওয়ায় আঙুর চাষে আগ্রহী হচ্ছেন অনেকেই। আঙুর চাষে বাড়তি কোনো খরচ নেই। জৈবসার প্রয়োগের পাশাপাশি সঠিক পরিচর্যায় জাত ভেদে একটি গাছে ৪০-৫০ বছর ফলন পাওয়া সম্ভব। এ ছাড়া বছরে একটি গাছে তিনবার ফল আসে। প্রতিটি গাছে দেড় থেকে দুই মণ ফলন পাওয়া যায়।
বিডি প্রতিদিন/এমআই