কক্সবাজারের উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড মনখালী এলাকায় কানিজ ফাতেমা জুতি নামের চার বছরের এক শিশুকে হত্যা করেছে তার বাবা। হত্যার পর তার মরদেহ নদীতে ফেলে দেয়া হয়।
ঘাতকের নাম আমান উল্লাহ। তাকে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছে।
শনিবার রাত ৯টার দিকে ঘটনা ঘটে। উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় লোকজনের বরাত দিয়ে ওসি জানান, আমান উল্লাহ একজন মাদকাসক্ত ব্যক্তি। এই নিয়ে স্ত্রীর সাথে প্রায় সময় ঝগড়া লেগে থাকতো। এর জের ধরে মেয়ে কানিজ ফাতেমা জুতিকে লোহার রড দিয়ে আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলে মারা যায় মেয়েটি। হত্যার পর তার মরদেহ পাশের নদীতে ফেলে দেয় পাষণ্ড পিতা। এই ঘটনা জানাজানি হলে ঘরের ভেতর ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয় অভিযুক্ত ঘাতক আমান উল্লাহ।
পরে স্থানীয় লোকজন ঘরের চালা ছিঁড়ে ভেতরে প্রবেশ করে তাকে আটক করে এবং ঘটনার কথা স্বীকার করে। এক পর্যায়ে মরদেহ নদীতে ফেলে দেয়ার কথাও স্বীকার করে। তখন দ্রুত এলাকার ৩০-৪০ জন লোক নদীর নেমে অনেকক্ষণ তল্লাশী করে শিশুর মরদেহটি উদ্ধার করে।
মেয়েকে খুনের কথা অকপটে স্বীকার করেছে ঘাতক আমান উল্লাহ। এলাকার লোকজনের জিজ্ঞাসাবাদে খুনের সময় মাদক সেবন করেছিল বলে দাবি করে এই পাষণ্ড।
আটকের পর তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে স্থানীয় লোকজন। নিহত শিশুর মরদেহ সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর রাত ১টার দিকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানান থানার ওসি আরিফ হোসেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল