পতেঙ্গা সৈকতের মূল পয়েন্টে প্রায় ১৫ কাঠা জায়গায় নির্মিত হবে তিন তলাবিশিষ্ট একটি ভবন। ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে স্থান নির্ণয় ও ভবনের নকশা তৈরির কাজ। আগামী এক মাসের মধ্যে শুরু হবে ভবন নির্মাণের কাজ।
চট্টগ্রাম নগরের অন্যতম প্রাকৃতিক বিনোদন কেন্দ্র পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত। প্রতিদিন এখানে অসংখ্য দর্শনার্থীর সরব উপস্থিতি থাকে। কিন্তু নেই কোনো টয়লেট কিংবা প্রয়োজনীয় অন্য নাগরিক সুযোগ-সুবিধা। এ জন্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) এবার পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতের মূল পয়েন্টে পর্যটকদের জন্য ‘নাগরিক সুবিধা কমপ্লেক্স’ নামের একটি বিশেষ ব্যবস্থা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে।
সিডিএ সূত্রে জানা যায়, পতেঙ্গা সৈকতের মূল পয়েন্টে প্রায় ১৫ কাঠা জায়গায় নির্মিত হবে তিন তলাবিশিষ্ট একটি ভবন। ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে স্থান নির্ণয় ও ভবনের নকশা তৈরির কাজ। আগামী এক মাসের মধ্যে শুরু হবে ভবন নির্মাণের কাজ। কমপ্লেক্সটির নিচতলার পুরোটায় থাকবে টয়লেট ও গোসলের ব্যবস্থা। থাকবে নারী ও পুরুষদের জন্য ১০টি করে মোট ২০টি টয়লেট। নারীদের জন্য হাইজিন কর্নার, ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার, বার্থিংয়ের ব্যবস্থা এবং লকারসহ অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা। দ্বিতীয় তলায় থাকবে নারী ও পুরুষের জন্য আলাদা নামাজের ব্যবস্থা। তৃতীয় তলায় থাকবে ওয়াচ টাওয়ার ও রেস্টুরেন্ট।
সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী হাসান বিনা শামস বলেন, সমুদ্রসৈকতে আসা পর্যটকদের কথা বিবেচনা করে সেখানে ‘নাগরিক সুবিধা কমপ্লেক্স’ নামের একটি ভবন নির্মাণ করা হবে। ইতোমধ্যে নকশা প্রণয়নসহ প্রয়োজনীয় কাজ শেষ হয়েছে। এক মাস পর নির্মাণকাজ শুরু করার পরিকল্পনা আছে। চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন প্রান্ত, ১৫ উপজেলা এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতে আসা পর্যটকদের সুবিধার বিষয়টি চিন্তা করে সিডিএ এটি বাস্তবায়ন করছে। জানা যায়, বিশেষ দিন বা জাতীয় দিবসে পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতে প্রায় দেড় লাখ লোকের সমাগম হয়। এ ছাড়া শুক্রবার-শনিবার ১ লাখের বেশি এবং দৈনিক ১০ হাজার মতো লোকের সমাগম হয় পতেঙ্গা সৈকতে। চট্টগ্রাম সিটি আউটার রিং রোড প্রকল্পের আওতায় পতেঙ্গা সৈকতে ওয়াকওয়ে, সুন্দর ও সুপরিসর আসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সৈকতের পাশেই আছে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ঘাঁটি বিএনএস ঈসা খান, চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন জেটি, বাংলাদেশ নেভাল একাডেমি ও ৭০ প্রজাতির প্রজাপতি নিয়ে প্রজাপতি পার্ক।