চট্টগ্রাম নগরের যানজট নিরসনের চারটি ফ্লাইওভার নির্মিত হয়েছে। কিন্তু ফ্লাইওভারের নিচের স্থানগুলো কোথাও মাদকাসক্তের আখড়া, কোথাও পরিত্যক্ত, কোথাও বর্জ্যরে স্তূপে পরিণত হয়েছিল। এসব জায়গা দিয়ে পথচারী চলাচলেও সমস্যা হতো। পরে সেখানে সৌন্দর্যবর্ধন কাজের উদ্যোগ নেওয়া হয়। করা হয় নয়নাভিরাম সবুজ ফুলের বাগান ও নার্সারি। আঁকা হয়েছে নানা চিত্রকর্ম। স্থান পেয়েছে বরেণ্য ব্যক্তিদের ফটোগ্রাফি।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) মুরাদপুর থেকে লালখান বাজার আখতারুজ্জামান চৌধুরী ফ্লাইওভার, মুরাদপুর থেকে রাহাত্তারপুল পর্যন্ত এম এ মান্নান ফ্লাইওভার, কদমতলী ফ্লাইওভার ও দেওয়ানহাট ফ্লাইওভার নির্মাণ করে। পরে সিডিএ ফ্লাইওভারগুলো চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে (চসিক) হস্তান্তর করে। চসিক ফ্লাইওভার মেরামত, সৌন্দর্যবর্ধন ও রক্ষণাবেক্ষণে ট্রেড ম্যাক্স নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়। প্রতিষ্ঠানটি ফ্লাইওভারের বিভিন্ন অংশে বাগান ও নার্সারি তৈরি করার পর মাদকাসক্ত ও বর্জ্যরে স্তূপ থেকে রক্ষা পায় স্থানগুলো। বর্তমানে ফ্লাইওভার সৌন্দর্যবর্ধন কাজে নিয়োজিত আছে ডিজাইনার, ইলেকট্রিশিয়ান, পরিচ্ছন্নতা-কর্মী, গার্ডেনার, সিকিউরিটি, সুপারভাইজারসহ ৬১ জন।
ট্রেড ম্যাক্সের স্বত্বাধিকারী মো. হেলাল আহমেদ বলেন, চারটি ফ্লাইওভারের নিচে বাগান-নার্সারি, শিল্পকর্মসহ নানাভাবে সৌন্দর্যবর্ধন করা হয়েছে। কেবল পরিচ্ছন্নতা কাজেই নিয়োজিত আছে ২০ জন কর্মী। ফ্লাইওভার পরিষ্কার ও সৌন্দর্যবর্ধন করতে মাসে গড়ে ২৫ লাখ টাকা খরচ হয়। বিদ্যুৎ বিল খাতে খরচ হয় প্রায় ৫ লাখ টাকা। ফলে যানগুলো স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচল করতে পারছে। তিনি বলেন, ফ্লাইওভার পরিষ্কার রাখতে নিচের ল্যান্ডস্ক্যাপে সড়কদ্বীপের প্রাচীর ঘেঁষে বাগান-সবুজায়ন করা, ভাস্কর্য স্থাপন, জীর্ণ গ্রিল মেরামত, বাগানের আশপাশে পরিষ্কার রাখা, ফ্লাইওভারের বাগান ও ওপরের সড়কের বর্জ্য অপসারণ, নির্দিষ্ট কিছু সড়কবাতি স্থাপন, জনসাধারণের চাহিদা বিবেচনায় গণশৌচাগার ও যাত্রী ছাউনি নির্মাণ, ফ্লাইওভারেব ডাউন সাইডগুলোতে মাদকাসক্ত মুক্ত ও পরিচ্ছন্ন রাখতে নার্সারি গড়ে তোলা এবং গ্রিল দিয়ে ঘেরাও করা হয়। এর মাধ্যমে ফ্লাইওভার নান্দনিক রাখা হয়েছে।