তাপপ্রবাহ নিয়ে শুরু হওয়া এপ্রিলজুড়ে কেবল মৃদু নয়, মাঝারি ও তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে চলারও আভাস এসেছে। সেইসঙ্গে নিম্নচাপ অথবা ঘূর্ণিঝড় এবং কালবৈশাখী ঝড়ের শঙ্কার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এপ্রিল মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে এমন আভাস দিয়েছে অধিদপ্তর; এছাড়া চলতি সপ্তাহের শেষ দিন পর্যন্ত গরমের তেজ থাকবে। এরপর আগামী সপ্তাহে বৃষ্টি ঝরার পর চলমান তাপপ্রবাহ কমে আসবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক।
এই আবহাওয়াবিদ বলেছেন, মঙ্গলবার রাজশাহী, পাবনা, নঁওগা, নীলফামারী, যশোর, ঢাকা, ফরিদপুর ও রাঙামাটি জেলাগুলোর ওপর দিয়ে যে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
এদিন ভোর ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ওমর ফারুক বলেন, “তাপমাত্রা বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকবে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তাপমাত্রা বাড়বে; এরপর ৫ এপ্রিল কোথাও কোথাও বৃষ্টি হতে পারে এবং ৬ এপ্রিল দেশজুড়ে বিভিন্ন স্থানে ঝড়বৃষ্টি থাকতে পারে। বৃষ্টির পর তাপপ্রবাহ কমে আসবে।”
এপ্রিলে আবহাওয়া যেমন থাকবে
চলতি মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস দিয়ে আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরে একটি থেকে দুইটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে যার মধ্যে একটি নিম্নচাপ/ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
চলতি মাসে পাঁচ থেকে ছয় দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের এবং এক তিনদিন তীব্র কালবৈশাখী ঝড় হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
তিনি বলেন, “এ মাসে দেশে ২-৪টি মৃদু মাঝারি এবং ১-২টি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।"
বাতাসে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ ধরা হয়। ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে বলা হয় মাঝারি এবং ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়। এরপর ৪২ ডিগ্রির উপরে উঠলে তাকে বলা হয় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ