‘এআই ম্যাজিক মারভেল, নন-কোডারদের জন্য একটি সেশন’ শীর্ষক বিশেষ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এনইউবি) ক্যাম্পাসে। ইংরেজি বিভাগের আয়োজনে কর্মশালায় মূল বক্তা ছিলেন জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের সচিব, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক পরামর্শক, লেখক ও বক্তা মনদীপ ঘরাই। প্রধান অতিথি ছিলেন নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. লে. কর্নেল (অব.) সর্দার মাহমুদ হোসেন।
স্বাগত বক্তব্যে সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, এআই অনেকের কাছে চাকরির জন্য হুমকি মনে হলেও সঠিকভাবে ব্যবহার করলে এটি মানুষের দক্ষতা ও উৎপাদনশীলতা বহুগুণ বাড়াতে পারে।
মূল আলোচনায় মনদীপ ঘরাই নন-কোডারদের দৃষ্টিকোণ থেকে এআই-এর সম্ভাবনা তুলে ধরেন। তিনি উদাহরণ, গল্প এবং ব্যবহারিক অনুশীলনের মাধ্যমে দেখান—এআই শুধু কন্টেন্ট তৈরির জন্য নয়; বরং সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা, কাজের গতি বৃদ্ধি এবং সৃজনশীল সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তার মতে, ‘নৈতিক এআই’ ধারণাটি নতুন নয়, বরং সাহিত্য থেকে শুরু হয়ে বর্তমান প্রযুক্তি আলোচনায় পরিণত হয়েছে। তিনি শিক্ষার্থীদের শুধু চ্যাটজিপিটি নয়, বিশ্বব্যাপী ব্যবহৃত অন্যান্য বড় এআই প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে জানার পরামর্শ দেন এবং ধাপে ধাপে দক্ষতা অর্জনের জন্য ‘AI Proficiency Blueprint’ গ্রহণের আহ্বান জানান।
প্রফেসর ড. সর্দার মাহমুদ হোসেন বলেন, শ্রেণিকক্ষ থেকে যুদ্ধক্ষেত্র—সব জায়গায় এআই-এর প্রভাব বাড়ছে। আমাদের উচিত ইতিবাচক-নেতিবাচক দুই দিক বিবেচনা করে প্রযুক্তিকে মানবকল্যাণে কাজে লাগানো। তিনি শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিভীতি কাটিয়ে ওঠার পরামর্শ দেন।
কর্মশালায় নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই ও লেখক মশিউর রহমান শান্ত বলেন, বাধাকে সুযোগে পরিণত করাই আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত।
অনুষদের ডিন মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক বলেন, এআই মানুষকে প্রতিস্থাপন করবে না; বরং যারা দক্ষ, তারা এআই ব্যবহার করে আরও এগিয়ে যাবে।
সমাপনী বক্তব্যে ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিহাব উদ্দিন আহমাদ কর্মশালার বক্তা, অতিথি ও আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান।