পাহাড়ে আতংকের আরেক নাম ভাইরাস। অর্থাৎ জ্বর, সর্দি, কাশি। ঘরে ঘরে এমন রোগীর অভাব নেই। বড় থেকে ছোট, শিশু থেকে বয়স্ক সবাই আক্রান্ত এ রোগে। এতে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে জেলা জুড়ে। অন্যদিকে ভিড় বাড়ছে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও জেলা সদরের জেনারেল হাসপাতালে। এ জ্বর থাকে টানা এক সপ্তাহ। জ্বর সর্দি ভাল হলেও শরীর থাকে দুর্বল। খাবারেরও দেখা দেয় অরুচি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঋতু পরির্বতন, গরম আর ঠান্ডা। আর বর্ষার ঠিক বিদায় লগ্ন থেকে মানুষের মধ্যে এমন পরিবর্তন শুরু হয়েছে। রাঙামাটি জেলার ১০ উপজেলার মধ্যে জ্বরের রোগীর সবচেয়ে বেশি সাজেক, বাঘাইছড়ি, জুরাছড়ি, বরকল, বিলাইছড়ি ও ফারুয়ায়। এছাড়া জেলা সদরেও কম নেই এমন রোগের রোগীর সংখ্যা।
সরেজমিনে দেখা যায়, ১০০ শয্যার রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে প্রতিদিন ১৫০ থেকে ২০০ জন রোগী ভর্তি হচ্ছেন জ্বরে আক্রান্ত হয়ে। শয্যা সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। বাধ্য হয়ে অনেক রোগী রাখা হচ্ছে মেঝেতে। হাসপাতালে জনবল সংকট থাকায় রোগী সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক-কর্মচারীরা। অনেককে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হচ্ছে বহিঃ বিভাগ থেকে ।
স্থানীয় ফারজানা আক্তার বলেন, আমার সন্তানের জ্বরের সাথে গলা ব্যথা ছিল। এছাড়া সর্দি কাশিও ছিল। সারাদিন ঠিক থাকলেও রাতে জ্বর বেড়ে যেতো। অনেকদিন জ্বর ছিল। তবে এখন সুস্থ হয়ে উঠেছে। তাকে সেবা করতে গিয়ে আমি আর আমার স্বামীও সর্দি জ্বরে আক্রান্ত হয়েছি।
রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডা. সওকত আকবর বলেন, সম্প্রতি রাঙামাটিতে জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। এটা সাধারণ ভাইরাস। তবে এটি ছোঁয়াচে। রোগীদের সাথে কথা বলে বুঝতে পেরেছি, পরিবারে কোন সদস্য জ্বর সর্দি কাশিতে আক্রান্ত হলে অন্য সদস্যরাও একই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তবে সাধারণ চিকিৎসাতে রোগীরা সুস্থ হয়ে উঠছে। যারা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে তারাও মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠছে। এছাড়া আমরা চেষ্টা করি রোগীদের যথাযথ সেবা দিতে। তবে শয্যা, ঔষুধ আর জনবল সংকটের কারণে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল