পবিত্র রমজান মাসকে সামনে রেখে বাজারের বাড়তি চাহিদা মেটাতে ছোলা, খেজুর, সয়াবিন তেল, চিনি, মটর ডাল ও মসুর ডাল—এই ছয়টি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে এসব পণ্যের ঋণপত্র (এলসি) খোলার পরিমাণ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১১ থেকে ২৯৪ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত দুই মাসে সয়াবিন তেল আমদানি বেড়েছে ৩৬ শতাংশ, চিনি ১১ শতাংশ, মসুর ডাল ৮৭ শতাংশ, ছোলা ২৭ শতাংশ, মটর ডাল ২৯৪ শতাংশ এবং খেজুরের আমদানি ২৩১ শতাংশ। রমজানকে কেন্দ্র করে চাহিদা বাড়ার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আগেভাগেই আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো এলসি খুলছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, আমদানির চাপ থাকা সত্ত্বেও ব্যাংকগুলোতে ডলারের কোনো সংকট নেই। ফলে ব্যাংক ও ব্যবসায়ীরা আগেই এলসি খোলার সুযোগ পাচ্ছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, ব্যাংকগুলোতে ডলার স্বাভাবিক আছে এবং বিনিময় হারও স্থিতিশীল। ব্যাংক ও ব্যবসায়ীরা আলোচনা করে কয়েক মাস আগে থেকেই এলসি খুলছে।
অন্যদিকে পেঁয়াজ, রসুন ও আদার আমদানিতে বিপরীত চিত্র দেখা গেছে। আগের বছরের তুলনায় এবার পেঁয়াজের এলসি খোলা কমেছে ৯৯ শতাংশ, রসুনে ৮৯ শতাংশ এবং আদায় ২২ শতাংশ।
তবে বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের স্বার্থে এলসি মার্জিন নির্ধারণে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করছে না বাংলাদেশ ব্যাংক। মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, নতুন গ্রাহক হলে ব্যাংক ঝুঁকি বিবেচনায় বেশি মার্জিন চাইতেই পারে। এটি ব্যাংক ও ব্যবসায়ীদের পারস্পরিক সিদ্ধান্তের বিষয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক জুলাই-সেপ্টেম্বরে এলসি খোলা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ৮২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল