আগের ম্যাচে ৭০ রানে আউট হয়েছিলেন ইমাম-উল-হক। তার এখনকার ফর্মের জন্য অস্বাভাবিকই বটে। সেঞ্চুরিকেই যে স্বাভাবিক বানিয়ে ফেলেছেন তিনি। সেমিফাইনালে সেই স্বাভাবিকতায় ফিরলেন ইয়র্কশায়ারের পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান। উপহার দিলেন আরও একটি সেঞ্চুরি।
তবে আট ম্যাচে চার সেঞ্চুরি করা ব্যাটসম্যানকে এবার থামতেই হচ্ছে। তার দলই যে থেমে গেছে। ইমামের শতরানের পরও ইংল্যান্ডের ওয়ানডে কাপের সেমি-ফাইনালে হেরে গেছে ইয়র্কশায়ার। স্কারবরায় অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার লিয়াম ডসনের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে ৫০ ওভারে ৩০৪ রান তোলে হ্যাম্পশায়ার। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা দলটি এক পর্যায়ে ছিল চরম বিপদে। ২০তম ওভারে তাদের রান ছিল ৪ উইকেটে ৭৮। কিন্তু ডসন পাঁচে নেমে ১৩ চার ও ৭ ছক্কায় খেলেন ১১৬ বলে ১৪২ রানের ইনিংস। ৪০ বলে অপরাজিত ৬১ করেন স্কট কুরি।
রান তাড়ায় ইমামের সৌজন্যে ইয়র্কশায়ার পথে ছিল দারুণভাবেই। এক পর্যায়ে তাদের রান ছিল ১ উইকেটে ১৪৬। কিন্তু এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে লড়াই থেকে ছিটকে পড়ে তারা। ১৫ চারে ৯৭ বলে ১০৫ রান করে রানআউট হয়ে যান ইমাম। পরে আর কোনো ব্যাটসম্যান মেটাতে পারেননি সময়ে দাবি। বৃষ্টির কারণে ইয়র্কশায়ারের লক্ষ্য ছিল ৪১ ওভারে ২৫৪। ৮ উইকেট হারিয়ে তারা করতে পারে ২৩৫। ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন পদ্ধতিতে হ্যাম্পশায়ার জিতে যায় ১৮ রানে।
ইয়র্কশায়ার বাদ পড়ে গেলেও ইমাম ছাপ রেখে গেলেন প্রবলভাবেই। পাকিস্তানের ওয়ানডে দলে জায়গা হারানো ব্যাটসম্যান এই টুর্নামেন্ট শুরু করেছিলেন ৫৫ রানের ইনিংস দিয়ে। দ্বিতীয় ম্যাচে উপহার দেন ১৩০ বলে ১৫৯ রানের ইনিংস, যা তার ক্যারিয়ার সেরা। টানা দ্বিতীয় শতরান করে পরের ম্যাচে তার ব্যাট থেকে আসে ১১৭। চতুর্থ ম্যাচে ১৩০ রান তাড়ায় অপরাজিত থাকেন ৫৪ রান করে। পরের ম্যাচে আউট হন ২২ রানে, টুর্নামেন্টে যা তার একমাত্র ব্যর্থতা। সে পুষিয়ে দিয়ে পরের ম্যাচে আবার করেন ১০৬। সপ্তম ম্যাচে ফেরেন ৭০ রানে। এবার সেমি-ফাইনালে সেঞ্চুরি দিয়ে শেষ করলেন আসর। আট ম্যাচে চার সেঞ্চুরি ও তিন ফিফটিতে তার রান ৬৮৮। ব্যাটিং গড় ৯৮.২৮, স্ট্রাইক রেট ৯৭.৪৫।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ