মাত্র ১৩৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমেও প্রায় হারতেই বসেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে জেসন হোল্ডারের নৈপুণ্যে টানা সপ্তম হারের লজ্জা থেকে মুক্তি পেল ক্যারিবীয়রা। ইনিংসের শেষ ওভারের শেষ বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ছয় ম্যাচ পর দলকে জয়ের স্বাদ দিলেন তিনি।
এই নাটকীয় ম্যাচে দুই উইকেটে জিতে সিরিজে ১-১ সমতা আনল। লডারহিলে রবিবার (৩ আগস্ট) ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়।
এদিন শেষ বলে ৩ রান দরকার ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। বল করেছিলেন শাহীন শাহ আফ্রিদি। অফস্টাম্পের বাইরের বলে না গিয়ে পায়ের দিকে বল করলেন আফ্রিদি। কিন্তু হোল্ডার সেটা ব্যাটে লাগিয়ে পাঠিয়ে দিলেন ফাইন লেগের পাশ দিয়ে বাউন্ডারিতে। এরপরই উল্লাসে ফেটে পড়েন তিনি।
এর আগে হোল্ডার বল হাতে ছিলেন দুর্দান্ত। ইনিংসের শুরুতেই সাইম আয়ুবকে কাটিয়ে দেন। চতুর্থ ওভারে ফিরিয়ে দেন সাহিবজাদা ফারহানকে। এরপর দারুণ ক্যাচ নিয়ে বিদায় দেন মোহাম্মদ হারিসকে। পাকিস্তানের স্কোর তখন মাত্র ২১।
তবে এরপর আগা সালমান ও হাসান নওয়াজের ব্যাটে ম্যাচে ফিরেছিল পাকিস্তান। তাদের ৬০ রানের জুটি নিয়ে এসেছিল লড়াই। হাসান নওয়াজ রোমারিও শেফার্ডকে এক ওভারে তিনটি ছক্কা মারেন। কিন্তু হোল্ডার আবার থামিয়ে দেন পাকিস্তানকে। তার বলে ফিরতি ক্যাচ তুলে দেন হাসান। পরে মোহাম্মদ নওয়াজকেও ফেরান। তার ফিগার ছিল ৪ উইকেট ১৯ রানে।
পাকিস্তানের ইনিংস থামে ১৩৩ রানে ৯ উইকেটে। লক্ষ্যটা ছোট হলেও সহজ ছিল না। পাকিস্তানের স্পিনাররা একপর্যায়ে ম্যাচ পুরোপুরি নিজেদের দিকে নিয়ে গিয়েছিল। মোহাম্মদ নওয়াজ ইনিংসের প্রথম দিকেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের টপ অর্ডার গুঁড়িয়ে দেন। আয়ুব ও সুফিয়ান মুকিমও ভালো বোলিং করেন। তারা ১২ ওভারে মাত্র ৫৩ রান দিয়ে তুলে নেন ৬ উইকেট।
শাই হোপ করেন ৩০ বলে ২১ রান। গুডাকেশ মোটি ও শেফার্ড কিছু আশা দেখিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ দিকে আবারও সব আলো কাড়েন হোল্ডার। শেষ দুই ওভারে বেশ কিছু সময় তাকে দেখা গেল নন-স্ট্রাইকার প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকতে। চাপ বাড়ছিল। কিন্তু শেষ বলে সুযোগটা পেয়ে হোল্ডার সেই চাপ থেকেই বের করে আনলেন দলকে।
তাতে পাকিস্তানের দুর্দশাটা বাড়ল বৈকি! একই দিনে ইংল্যান্ডে ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অফ লেজেন্ডসের ফাইনালে পাক সাবেক ক্রিকেটাররা হেরেছেন দক্ষিণ আফ্রিকা লেজেন্ডসের কাছে। এরপর বর্তমান দলটাও হারের মুখ দেখল কিছুক্ষণ পরই।
বিডি প্রতিদিন/নাজিম