লোকজনের আগ্রহ নেই, টিকেট বিক্রিতে সাড়া নেই। ক্লাব বিশ্বকাপ শুরুর আগের কিছু দিন এসব নিয়েই ছিল আলোচনা। টিকেটের দাম অনেক কমিয়েও দেওয়া হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত টুর্নামেন্ট শুরুর দিনে দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। ৬৫ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিক হিসেবে দর্শক উপস্থিতি ৬০ হাজার ৯২৭ জন! সেই দর্শকেরা অবশ্য গোল দেখতে পেলেন না একটিও। গোলশূন্য ড্রয়ে শুরু হলো ক্লাব বিশ্বকাপ।
নতুন করে বড় পরিসরে ৩২ দলের ক্লাব বিশ্বকাপের প্রথম আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে আজ রবিবার গোলশূন্য ড্র করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টার মায়ামি ও মিশরের আল আহলি। গোল না হলেও অবশ্য দর্শকদের বিনোদনের উপকরণ ছিল যথেষ্টই। আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণে দুই দলই সুযোগ তৈরি করেছে বেশ কিছু। কিন্তু বাধার দেওয়াল হয়ে দাঁড়ান দুই গোলকিপার।
গোল করার সবচেয়ে বড় সুযোগটি পেয়েছিল আল আহলিই। প্রথমার্ধের শেষ দিকে পেনাল্টি পায় তারা। কিন্তু ফরোয়ার্ড মাহমুদ আহমেদ ইব্রাহিম হাসান, ফ্রান্সের সাবেক তারকা দাভিদ ত্রেজেগের সঙ্গে মিলের কারণে যিনি পরিচিত ত্রেজেগে নামেই, তার শট ফিরিয়ে দেন মায়ামির গোলকিপার অস্কার উস্তারি। ফিরতি বলে আবার পা ছোঁয়ান ত্রেজেগে, এবার বল গাতে জমিয়ে নেন উস্তারি। শুধু পেনাল্টি ঠেকানোই নয়, গোটা ম্যাচে আটটি সেভ করে মায়ামির পয়েন্ট পাওয়ার নায়ক উস্তারিই।
বিশেষ করে, প্রথমার্ধে দুর্দান্ত খেলে দলকে রক্ষা করেন ৩৮ বছর বয়সী গোলকিপার। বেশ কিছুদিন ধরেই অবশ্য অসাধারণ গোলকিপিং করছেন তিনি। দলের প্রথম পছন্দের গোলকিপার ড্রেক ক্যালেন্ডারের চোটের কারণে সুযোগ পেয়ে মেজর লিগ সকারেও ম্যাচের পর ম্যাচ দারুণ পারফর্ম করে চলেছেন আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের হয়ে দুটি ম্যাচ খেলা এই গোলকিপার। খুব পিছিয়ে ছিলেন না আল আহলির গোলকিপার মোহামেদ এল শেনাওয়ি। তিনি সেভ করেছেন পাঁচটি।
ফ্লোরিডার হার্ডরক স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রোববার সকালে ম্যাচের প্রথমার্ধে প্রায় একচেটিয়া দাপট ছিল আল আহলির। কিন্তু গোল বের করতে পারেনি তারা নিজেদের ব্যর্থতা আর উস্তারির দৃঢ়তায়। প্রথমার্ধেই ‘ওপেন প্লে’ থেকে চারটি সেভ করেন মায়ামির গোলকিপার। এরপর ৪৬তম মিনিটে পেনাল্টি ঠেকানো তো আছেই।
২০২২ সালের ২৮ অক্টোবরের পর প্রথমবার পেনাল্টি ঠেকাতে পারলেন তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধে অনেকটা গুছিয়ে নেয় মায়ামি। দারুণ লড়াইয়ে খেলা জমে ওঠে। মেসি তার কিছু ঝলক দেখান এই অর্ধে। ৬৪তম মিনিটে ফ্রি কিক থেকে তিনি গোল পাননি অল্পের জন্য। ৮৫তম মিনিটে আরেকবার গোলের কাছাকাছি যায় মায়ামি। এবার মেসির ক্রস থেকে ফাফা পিকুঁর হেড ক্রসবার স্পর্শ করে চলে যায় বাইরে।
৯০ মিনিট শেষে যোগ করা সময়ের ষষ্ঠ মিনিটে নাটকীয় জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েছিল মায়ামি। এবার মেসির শটে বলে কোনোরকমে স্পর্শ করে বাইরে পাঠিয়ে দেন আল আহলির গোলকিপার এল শেনাওয়ি। মায়ামির পরের ম্যাচ বৃহস্পতিবার পর্তুগিজ ক্লাব পোর্তোর বিপক্ষে। একই দিনে ব্রাজিলের পালমেইরাসের সঙ্গে লড়বে আল আহলি।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ