গ্লোবাল সুপার লিগের (জিএসএল) প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্স। নুরুল হাসান সোহানের রংপুর দ্বিতীয় আসরের ফাইনালও খেলেছে। বাংলাদেশ সময় আজ ভোরে ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছে স্বাগতিক গায়ানা ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে। পাঁচ দলের টুর্নামেন্টে রংপুর একমাত্র অপরাজিত দল হিসেবে ফাইনাল খেলেছে। গ্রুপ পর্বে টানা তিন ম্যাচ জিতে ফাইনাল নিশ্চিত করে সোহান বাহিনী। গ্রুপের শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিকসের বিপক্ষে রংপুরের ম্যাচটি হতে পারেনি। বৃষ্টিতে ভেসে গেছে। যদিও প্রথমে ব্যাট করেছিল রংপুর। ১৪ ওভারে নির্ধারিত ম্যাচটিতে রংপুর অলআউট হয়েছিল ১৩.৫ ওভারে ৭৯ রানে। ৮০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নামতে পারেনি সেন্ট্রাল। চার ম্যাচে টানা তিন জয় এক পরিত্যক্ত ম্যাচে মোট ৭ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ শীর্ষে থেকে ফাইনাল খেলেছেন সোহানরা।
ফাইনালের প্রতিপক্ষ গায়ানা চার ম্যাচের তিনটিতে জিতেছে। হেরেছে একমাত্র রংপুরের কাছে। সেটা টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় ম্যাচে। ডান হাতি পেসার খালেদ আহমেদের বিধ্বংসী বোলিংয়ে রংপুর জিতেছিল ৮ রানে। প্রথম ব্যাটিংয়ে ২০ ওভারে রংপুর করেছিল ৫ উইকেটে ১৬২ রান। দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার কাইলি মেয়ার্স। এ ছাড়া পাকিস্তানের ইফতেখার আহমেদ অপরাজিত ছিলেন ৩৪ রানে। ১৬৩ রানের জবাবে গায়ানা অলআউট হয়েছিল ১৫৪ রানে। ম্যাচসেরা খালেদ ৩৬ রানের খরচে নেন ৪ উইকেট। সোহান বাহিনী শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ১ রানে হারায় অস্ট্রেলিয়ার হোবার্ট হারিকেন্সকে। প্রথম ব্যাটিংয়ে রংপুর ৬ উইকেটে ১৫১ রান করেছিল। খালেদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১৫০ রানে গুটিয়ে যায় হোবার্ট। সাকিব আল হাসানের দুবাই ক্যাপিটালসের বিপক্ষেও জয় পায় ৮ রানে। প্রথম ব্যাটিংয়ে সোহান বাহিনীর সংগ্রহ ছিল ৫ উইকেটে ১৫৮ রান। সাকিবের দুবাই সংগ্রহ করে ১৫০ রান।
জিএসএলে দারুণ বোলিং করেছেন রংপুরের পেসার খালেদ আহমেদ। চার ম্যাচের তিন ইনিংসে বোলিং করে ১০ উইকেট নিয়েছেন। দুবার ৪টি করে উইকেট নেন ম্যাচে। সবচেয়ে বেশি উইকেট গায়ানা ওয়ারিয়র্সের লেগ স্পিনার ইমরান তাহিরের। দুই বোলারই আজ ভোরে পরস্পরের মুখোমুখি হয়েছেন। রংপুরের পক্ষে ৪টি করে উইকটে নেন ইফতেখার আহমেদ ও আজমতউল্লাহ কামারজাই এবং ৩টি উইকেট নেন সাইফ হাসান। আসরে ফাইনালের আগে পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি রান রংপুরের ক্যারিবীয় ব্যাটার মেয়ার্সের। তিন ম্যাচের তিন ইনিংসে ১৩০ গড়ে ১৩০ রান করেছেন। সর্বোচ্চ স্কোর অপরাজিত ৬৭ রান। রংপুরের ইফতেখার চার ম্যাচের চার ইনিংসে রান করেছেন ৮৪, সৌম্য সরকার চার ম্যাচে রান করেছেন ৭৬। নুরুল হাসান সোহানের রান চার ম্যাচে ৬০।