সাত দফা দাবিতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আজ জামায়াতে ইসলামীর মহাসমাবেশ। এরই মধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে দলটি। প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান।
জামায়াতের দাবিগুলো হলো অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণ; সব গণহত্যার বিচার, প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার, জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন, জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারের পুনর্বাসন, পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং ১ কোটির বেশি প্রবাসীর ভোট প্রদানের ব্যবস্থা করা। সমাবেশে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে যেসব দল অংশ নিয়েছে যেমন বিএনপি, ইসলামী আন্দোলন, খেলাফত আন্দোলন, এনসিপিসহ সব দলের শীর্ষ নেতাকে আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
গতকাল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশস্থল পরিদর্শন শেষে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘আমাদের জাতীয় সমাবেশ কেন্দ্র করে রাজধানীতে সম্ভাব্য যানজট ও জনদুর্ভোগের জন্য আগাম দুঃখ প্রকাশ করছি। এ সমাবেশে লাখ লাখ মানুষ রাজধানীতে প্রবেশ করবেন, যার ফলে সাময়িক দুর্ভোগ সৃষ্টি হতে পারে। তবে সে দুর্ভোগ যেন যতটা সম্ভব সীমিত রাখা যায়, সেজন্য দলের পক্ষ থেকে নানান প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’ কয়েক সপ্তাহ ধরে সমাবেশ সফল করার জন্য দলের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে জানিয়ে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিশাল এ ময়দানে আমাদের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এখন বর্ষাকাল, তাই আবহাওয়ার বিষয়টিও মাথায় রেখে প্রস্তুতি সাজানো হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘সমাবেশ ঘিরে ৬ হাজারের মতো স্বেচ্ছাসেবী আটটি বিভাগের দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁরা সমাবেশস্থলের শান্তিশৃঙ্খলা, নিরাপত্তা ও আগত অতিথিদের সেবা দিতে কাজ করবেন।’ সমাবেশ নির্বিঘ্ন করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে বলেও জানান জামায়াতের এই নেতা। জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আমরা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, ডিএমপি কমিশনার ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করেছি। তাঁরা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন সাধ্যানুযায়ী প্রশাসনিক সহযোগিতা ও নিরাপত্তা দেবেন।’
ঢাকার বাইরের সমর্থকদের আগমনের বিষয়টিও দলটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। তিনি বলেন, ‘ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সঙ্গে আমাদের নেতারা একাধিকবার বৈঠক করেছেন। ঢাকার বাইরে থেকে আগত বাসগুলো কোন কোন স্থানে থামবে সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।’ জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘স্থল, নৌ, সড়ক ও রেলপথে মানুষ শুক্রবার রাত থেকেই ঢাকায় প্রবেশ শুরু করবেন। আমরা চাই কেউ যেন হয়রানির শিকার না হন এবং একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে যেন আমাদের জাতীয় সমাবেশটি সম্পন্ন হয়।’