টানা তিন ম্যাচ জিতে সুবিধাজনক অবস্থানে আছে বাংলাদেশ। চার জাতি সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে পুরো ৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে নামবেন আফঈদারা। সন্ধ্যায় ভুটানের বিপক্ষে স্বাগতিকরা লড়বেন। শিডিউল অনুযায়ী বসুন্ধরা কিংস অ্যারিনায় ম্যাচটি হওয়ার কথা। তার আগে নেপাল ও শ্রীলঙ্কার ম্যাচ রয়েছে। বৃষ্টির কারণে মাঠ অনুপযোগী থাকায় কিংস অ্যারিনায় মঙ্গলবার পুরো ম্যাচ হতে পারেনি। তবে কিংস অ্যারিনার অনুশীলন মাঠ দ্রুত প্রস্তুত করে বাকি সময়ে ম্যাচ সম্পন্ন হয়েছে। একই সঙ্গে নেপাল ও শ্রীলঙ্কার ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়। আজ বসুন্ধরা কিংস অ্যারিনা অনুশীলন মাঠে দুই ম্যাচ হওয়ার কথা।
জুনিয়র নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে শিরোপা লড়াই এখন বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। ভুটান ও শ্রীলঙ্কার সম্ভাবনা শেষ হয়ে গেছে। স্বাগতিকদের ৯ ও নেপালের সংগ্রহ ৬ পয়েন্ট। এর পরও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না বাংলাদেশই চ্যাম্পিয়ন হবে। বড় কোনো অঘটন না ঘটলে বাংলাদেশ ও নেপাল দুই জয় নিয়েই ২১ জুলাই টুর্নামেন্টে শেষ ম্যাচে লড়বে। এখানে ড্র করলেই আফঈদাদের শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যাবে।
হেরে গেলে কী হবে? গত আসরে বাংলাদেশ ও ভারতকে যুগ্মচ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়েছিল। ম্যাচটি ছিল ফাইনাল আর টাইব্রেকারে সমান গোল হওয়ায় দুই দলের সম্মতি নিয়েই যৌথ চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়েছিল। এবার তো ফরম্যাট ভিন্ন। রবিন লিগ পদ্ধতিতে ডাবল রাউন্ডের খেলা। ভুটান ও শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে দুই দল মুখোমুখি হলে বাংলাদেশ ড্র বা জিতে গেলে সমস্যা নেই। হেরে গেলে তখনো তো পয়েন্ট সমান হবে। সে ক্ষেত্রে গোল ব্যবধান না পুনরায় ম্যাচ হবে তা টুর্নামেন্ট কমিটি নিশ্চিত করে বলছে না।
গোল ব্যবধানে শিরোপা নিষ্পত্তি হলে ভুটান ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই দলের লড়াই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে গোল ব্যবধানে এগিয়ে শেষ ম্যাচে লড়তে হবে। অবশ্য এ পরিসংখ্যান কাজে আসবে যদি নেপাল হারাতে পারে বাংলাদেশকে। পিটার বাটলারের মেয়েরা অবশ্য এত কিছু ভাবছেন না। তাদের লক্ষ্য সব ম্যাচ জিতেই শিরোপা ধরে রাখা। সেই সামর্থ্য তাদের আছে। লাল কার্ডের কারণে আগের ম্যাচে খেলতে পারেননি সাগরিকা। এখন পারবেন। সেরা দল নিয়েই তিন ম্যাচে লড়বেন। সবকিছু মিলিয়ে শেষ ম্যাচেই শিরোপা নিষ্পত্তি হওয়ার সম্ভাবনা।