২৯ মে পেশাদার ফুটবল লিগের ম্যাচ দিয়েই ঘরোয়া আসরের পর্দা নামছে। অথচ অধিকাংশ খেলোয়াড়ই তাদের পারিশ্রমিক বুঝে পাচ্ছেন না। এ ক্ষেত্রে শুধু স্থানীয় নন, বিদেশি ফুটবলারও রয়েছেন। মৌসুম শেষ হতে চলেছে। কিন্তু খেলোয়াড়রা ৩০ বা বড়জোর ৫০ ভাগ বেতন বা পারিশ্রমিক বুঝে পেয়েছেন। বকেয়া অর্থ কবে দেবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। এমনও ক্লাব আছে, যারা প্রতি মাসে ৫ কিংবা ১০ হাজার টাকা করে খেলোয়াড়দের পেমেন্ট দিচ্ছে। খেলোয়াড়রা টাকা চাইলেই ক্লাব থেকে বলা হয়, ক্লাব চলে ডোনেশনের মাধ্যমে। ব্যবসাবাণিজ্য মন্দা যাচ্ছে বলে ব্যবসায়ীরা টাকা দিচ্ছেন না। এ ক্ষেত্রে ধৈর্য ধরতে বলা হচ্ছে। প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হচ্ছে, লিগ শেষের আগেই পুরো টকা বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
পেশাদার ফুটবলে প্রধান শর্তই হচ্ছে খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক নিয়মিত পরিশোধ করা। কিন্তু তা মানা হচ্ছে না। অবশ্য বর্তমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে ক্লাব চালানোটা মুশকিল হয়ে পড়েছে। ২-১টি ছাড়া বাকি ক্লাবদের করুণ হাল। ঘরোয়া ফুটবলে পারিশ্রমিক নিয়ে জটিলতা নতুন কিছু নয়। তবে চলতি মৌসুমের মতো সংকটাপন্ন অবস্থা কখনো হয়নি। পারিশ্রমিক তো আছেই, কোনো কোনো ক্লাবে অর্থের অভাবে খেলোয়াড়দের খাবারের ব্যবস্থা করাও কষ্টকর হয়ে উঠেছে। এমন বেহালদশা অবস্থার পরও কর্মকর্তাদের কাছে প্রসঙ্গটা তুললেই উত্তর আসে কোনো বকেয়া নেই, আমরা খেলোয়াড়দের নিয়মিত পেমেন্ট করছি। আবার কেউ কেউ বলছেন, ‘সমস্যা তো আছেই। কী করব বলেন, টাকা তো পাচ্ছি না। ক্লাব সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের কাছে সাহায্য চাইলে তারা বলেন, নিজেই চলতে পারছি না। টাকা পাব কোথায়। এ অবস্থায় কী করার আছে। তবে এতটুকু বলতে পারি দেরিতে হলেও বকেয়া বুঝিয়ে দেওয়া হবে। সময়টা ভালো যাচ্ছে না বলে এমন অবস্থা।’ অর্থ সংকট নিয়ে ক্লাবগুলো আবার বাফুফের ওপর ক্ষুব্ধ। ফেডারেশনের কাছে একেক ক্লাবের মোটা অঙ্কের অংশগ্রহণ মানি বাকি আছে। তৎকালীন সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়েই গেছেন। বাস্তবে শুধু বাকির পাহাড় গড়েছেন। আরেকটি সমস্যা হচ্ছে, হাউজি। যা ক্লাবগুলোর আয়ের উৎস ছিল। তা ঠিকমতো করতে পারছে না। এখানে বড় আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যে চরম অর্থ সংকটের মধ্যে দিন পার করছে ক্লাবগুলো, তার সমাধান কী, এ নিয়ে ফুটবলপ্রেমীরাও চিন্তিত।