একে অবিশ্বাস্য ব্যর্থতা বললেও ভুল হবে না। হকির অন্যতম দুর্বল টুর্নামেন্ট এএইচএফ কাপে বাংলাদেশে এমন দশা হবে ভাবাই যায় না। ছয় আসরে টানা চারবার চ্যাম্পিয়নের কৃতিত্ব রয়েছে বাংলাদেশের। সাফল্যের কারণে এ কাপ যেন বাংলাদেশরই হয়ে গিয়েছিল। অন্য কেউ চ্যাম্পিয়ন হতে পারবে না এমন ধারণা ক্রীড়াপ্রেমীদের মধ্যে গড়ে উঠেছিল। অন্যখানে যেখানে ব্যর্থ সেখানে এএফসি কাপে বিজয় তো কিছুটা হলেও স্বস্তি দিচ্ছিল। এবার যখন সপ্তম আসর খেলতে খেলোয়াড়রা ইন্দোনেশিয়া গেলেন, তখন তো ভাবনায় ছিল শুধুই শিরোপা।
এত আশা, এত ভরসা তারপর এমন সর্বনাশ ঘটল কীভাবে? টানা পঞ্চম শিরোপা দূরের কথা, বাংলাদেশ ফাইনালই খেলতে পারল না! ওমানের কাছে হেরে সাগরেই ভেসে গেছে। কেননা ফাইনালে উঠতে না পারায় বাংলাদেশ এশিয়া কাপ খেলার যোগ্যতা হারিয়েছে; যা আগামী আগস্ট-সেপ্টেম্বরে ভারতে অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ এশিয়া হকির সেরা আসরে খেলতে পারবে না এর চেয়ে লজ্জা আর কী হতে পারে! যারা কি না চায়নিজ তাইপে বাংলাদেশের সামনে পাত্তাই পেত না, তারাই এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে টিকে গেল। সত্যি বলতে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হলেও বাংলাদেশের পারফরম্যান্স আশানুরূপ ছিল না। কাজাখস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সহজ জয় পেলেও ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ড তো ঘাম ঝরিয়ে দিয়েছিল। এমন ব্যর্থতায় হকি ফেডারেশন কী ব্যাখ্যা দেবে? তারা তো বয়সের কারণে অভিজ্ঞ সিনিয়রদের দলেই টানেনি। ভেবে ছিল তরুণরাই এনে দেবে সাফল্য। এখনো কি বুঝতে বাকি অভিজ্ঞতার মূল্য কী।