কেউ কেউ ডামি না হয়ে সমুদ্রমন্থন করে তুলে আনে স্বেচ্ছামৃত্যু।
এতোদিন যাকে দেখা গেল আগুনের ঝাঁপি বুকে নিয়ে,
এক শূন্যতা থেকে আরেক শূন্যতায় যৌবনের পাণ্ডুলিপির নতুন ইতিহাস;
সে আজ নির্মোহ শালুক ফোটায় গোপনে কাদাজল ঘেঁটে।
নির্লিপ্ত অন্তর নিয়ে বসে থাকে একাকী গলুইয়ের অন্তিম আড়াল।
আগুন খেয়ে ঝরে পড়ে মৃত্যুর পরোয়ানা নিয়ে।
সেখানে ভেসে ওঠে এক সমুদ্র স্বপ্ন, ভোরের গলুইয়ের ভেতর থেকে
বের হয়ে আসে, সংসারের নতুন জন্মের আরেক ইতিহাস।
কী অমায়িক বুদ্ধের ধ্যান ও অশোকের সবুজ মাঠ!
কুয়াশা ভেদ করে যে খেলা উঠে আসে অস্থির রক্তবিন্দু ছুঁয়ে,
সে এখন দেহবল্লী গুটিয়ে বসে থাকে মধ্যরাতের আঁধারের ভেতর।
কেউ যেন না দেখে তাকে। যে দেখে সে পরিচিত পথ ছেড়ে
অস্থির সময়ের কাছে খুঁজে নেয় অপেক্ষার নিশ্চিত সমুদ্রমন্থন!