শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৫

গল্প

শাশুড়ি

মূল : ইসমাত চুগতাই, অনুবাদ : আলমগীর মোহাম্মদ
প্রিন্ট ভার্সন
শাশুড়ি
বউ... উ...উ গলায় আটকানো শ্লেষ্মার পাহাড় ঠেলে বুড়ি চিৎকার করে ডাকলেন। বিরক্তিতে চেঁচামেচি ও গজগজ করতে করতে সে জবাবে বলল, এখনই আসছি। এমনভাবে সে লাফালাফি করছিল যেন তার মাথায় ভূতের নাচ চলছিল। আরে এখনই আয়। নইলে কিন্তু... বউ ছাদ থেকে নেমে এলো নূপুরের রুনুঝুনু শব্দ সহযোগে। তার পেছন পেছন নেমে এলো একদল নগ্ন, অর্ধনগ্ন ও কুষ্ঠের মতো পায়ে ফুটফুটে দাগওয়ালা ছোকরা...

আকাশে গনগনে সূর্য। মনে হচ্ছে বুড়ির কুঁড়েঘরের ওপর এসে সূর্য সব তাপ ও আলো ফেলছিল। সূর্যের তাপদাহ থেকে বাঁচার জন্য বুড়ি খাটের দিক পরিবর্তন করলেন। কিন্তু এতে কোনো কাজ হলো না। তারপর তিনি যখন ঝিমাতে শুরু করলেন, ছাদের ওপর ধুমধাম আওয়াজ আর থেকে থেকে অট্টহাসির রোল শোনা গেল।

খোদা তার বিনাশ করুক! শাশুড়ি তার ছেলে বউকে গজব দিলেন, যে কাবাডি খেলছিল এবং মহল্লার ছোকরাদের সঙ্গে মজা করছিল। শাশুড়ি-মা ভেবে বিস্মিত হলেন এই ভেবে যে, এরকম একটা ছেলের বউ থাকতে কে বাঁচতে চায়! বাইরে তপ্ত রোদ আর সে ছাদের ওপর। দলবেঁধে ছেলেমেয়েরা আসে। কেউ এক পলক ঘুমাতে পারে না।

বউ... উ...উ গলায় আটকানো শ্লেষ্মার পাহাড় ঠেলে বুড়ি চিৎকার করে ডাকলেন। বিরক্তিতে চেঁচামেচি ও গজগজ করতে করতে সে জবাবে বলল, এখনই আসছি। এমনভাবে সে লাফালাফি করছিল যেন তার মাথায় ভূতের নাচ চলছিল।

আরে এখনই আয়। নইলে কিন্তু... বউ ছাদ থেকে নেমে এলো নূপুরের রুনুঝুনু শব্দ সহযোগে। তার পেছন পেছন নেমে এলো একদল নগ্ন, অর্ধনগ্ন ও কুষ্ঠের মতো পায়ে ফুটফুটে দাগওয়ালা ছোকরা। এদের মধ্যে কেউ কেউ ফ্যাত-ফ্যাত নাক টানছিল। পিলারের আড়ালে দাঁড়িয়ে তারা বুড়ির দিকে কটমটে দৃষ্টিতে তাকিয়েছিল।

ওহ খোদা, এই জারজের দলকে নিয়ে যা, আর না হয়, আমার জন্য আজরাইল পাঠিয়ে দে। এই ছোকরাগুলো এখানে এসে কেন আমাকে জ্বালিয়ে মারছে, জানি না। শেয়াল-কুকুরের মতো বাচ্চা পয়দা করে ছেড়ে দিল মা-বাপেরা, আর এখন আমার জীবনটাকে নরক বানিয়ে তুলল এরা। এরকম আরও কত গালি। কিন্তু ছেলেমেয়েগুলো একে অন্যের দিকে ঘুষি তাক করে দাঁত বের করে হাসছিল।

তোদের ঘরে আগুন লাগুক...

বাশাইরয্যা তুই কেন মরে গেছিলি এই বলে বউ তার পাশে দাঁড়ানো একটা মেয়েকে কনুইয় দিকে খোঁচা দিল।

এটা যে তার দিকে ইঙ্গিত করে করা হয়েছিল সেটা বুঝতে পেরে বুড়ি চিৎকার করে বলে উঠলেন, তোর মুখে ঝাটা মারি। তোর চৌদ্দগুষ্টি নিপাত যাক... তোর...

বাহ্ রে, আমরা আপনার সম্পর্কে কথা বলছি না... বউ আদরের সুরে বলল। কিন্তু বুড়ি রাগে ফুলতে লাগলেন। ছেলেমেয়েগুলোকে তিনি এমন তীব্রভাবে ভর্ৎসনা করলেন, তারা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল। বউ খাটে বসে পড়ল।

কারও ঘরের বউ কি তোমার মতো ছেলেদের নিয়ে ঘুরে বেড়ায়? রাত নেই, দিন নেই খালি ছেলেদের সঙ্গে মেলামেশা ... মনে হলো শাশুড়ি জীবনের প্রতি বিরক্ত।

ঘুন... ঘুন... ঘুন..., হাতপাখা থেকে খড় ছড়িয়ে সেগুলো তোতাপাখির খোঁয়াড়ে ছুড়তে ছুড়তে বউ আওড়ালো। টি... টি..., তোতাপাখিটি বলে উঠল।

শুধু শুধু পাখিটাকে ঘাটাচ্ছিস কেন? শাশুড়ি গজ গজ করে উঠলেন।

এটা কথা বলে না কেন?

তাতে তোর কী? এটা তার মর্জি। তোর বাবা খাওয়ায় এটাকে? শাশুড়ি মুখ ফিরিয়ে চেঁচিয়ে উঠলেন।

আমি এটাকে কথা বলিয়ে ছাড়ব। বউ আরেকটা খড় ছুড়ে দিল তোতা পাখিটার গায়ে।

এই, এই ... তোর মাথা খারাপ নাকি? তুই এখান থেকে যাবি, নাকি আমি দুয়েক ঘা লাগাব...

শাশুড়িকে অগ্রাহ্য করে বউ তোতাপাখিটাকে ত্যক্ত করে চললে তিনি রেগে গিয়ে তাঁর বাঁকানো একটা জুতো ছুড়ে মারলেন বউয়ের দিকে, জুতোটা গিয়ে খাজাঞ্চির নিচে শুয়ে থাকা কুকুরের গায়ে পড়লে সেটা ঘেউ ঘেউ করে উঠল। বউ হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়ল। শাশুড়ি অন্য জুতাটা কুড়িয়ে হাতে নিলে বউ পিলারের অন্য পাশে নিজেকে আড়াল করে নিল।

আসগর ছেলেটা আসুক আজকে...।

ছেলে! স্বামীর নাম নিতে শুনে বিব্রত হওয়া তো দূরের কথা, বউ আরও জোরে জোরে হাসতে লাগল।

গজব পড়ুক তোর ওপর! একটা বাচ্চা পর্যন্ত জন্ম দিতে পারলি না তুই। এ ঘরে তুই আসার দিন থেকেই অনিষ্ট শুরু!

বউ হেসে পাখির খাঁচাটাতে আরেকটু নাড়া দিল।

তুই তোতা পাখিটার পেছনে লেগেছিস কেন?

পাখিটাকে আমি কথা বলিয়ে ছাড়ব।

বুড়ি রাগে ফুঁসতে লাগলেন। তুই এরকম করতে থাকবি তো আমি আমার ছেলেকে আবার বিয়ে করাব।

সূর্য সরে গিয়ে শতরঞ্জির ওপর পড়ল।

শাশুড়ি বিড়বিড় করতে লাগলেন- মেয়ের সঙ্গে তারা যৌতুক হিসেবে কী এমন দিয়েছে?... এই, কি আজিব উপহার! নকল মাদুলি ও ক্রোমিয়াম প্লেটে তৈরি কিছু গয়না ছাড়া। আর... তো, আমি কী করব এজন্য? এ ধরনের বিরক্তির ঝামটাঝামটিতে বিরক্ত হয়ে বউ হাত-পা ছড়িয়ে খাটের ওপর শুয়ে পড়ল।

এবং ওই এ্যালুমিনিয়ামগুলো...

হাই তুলতে তুলতে বুড়ি একনাগাড়ে বলে যাচ্ছিলেন। তারপর তিনি ঝুড়ির ওপর মাথা রেখে পা দুটো ছড়িয়ে দিলেন। যা হোক, ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়া পর্যন্ত বুড়ি এ কথা সে কথা বলে বউকে খোটা দিতে লাগলেন।

বুড়ির সেই গজরগজরের বেশির ভাগই ছিল যৌতুক নিয়ে তার অস্বস্তির প্রকাশ। কিন্তু বেশরম বউটা খাটের ওপর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ল। শিগগিরই বুড়ির বিড়বিড়ানি নাক ডাকায় রূপ নিল।

আসগর ঘরে ঢুকল, পিলারের সঙ্গে তার ছাতাটা রাখল, ওয়েস্টকোট ছেড়ে শার্ট দিয়ে শরীরের ঘাম মুছে নিল। দুষ্টু ছেলের মতো সে প্রথমে মায়ের দিকে এবং পরে বউয়ের দিকে গোপনে চেয়ে নিল। বস্তাভর্তি আম ও তরমুজ মেঝেতে রেখে কিছুক্ষণ ধরে মাথা চুলকাতে লাগল সে। তারপর নিচু হয়ে বউকে বাহু ধরে নাড়া দিল।

উফ, বউ বিরক্ত হয়ে বাহু ছাড়িয়ে নিল। তারপর পাশ ফিরে অতল ঘুমে হারিয়ে গেল।

আসগর বস্তাটা উপরে তুলল এবং কিছুক্ষণ ইতস্তত নাড়াচাড়ার পর ভেতরের রুমে চলে গেল। চালাকচতুর বিড়ালের মতো গলা বাড়িয়ে বুড়ির দিকে একবার তাকিয়ে বউ গলায় ওড়না চড়িয়ে ত্বরিত ভেতরের রুমে দৌড়ে গেল।

পায়খানা বন্ধ হয়েছিল। ঘাম ঝরে চলছে।...

আমের ঘ্রাণে ময়লার টাল থেকে মাছি এসে ভনভন করতে লাগল ঘরের ভেতরটাতে। বুড়ির গায়ের ওপর মাছি গিজগিজ করছিল। কিছু কিছু মাছি বুড়ির ঠোঁটে জমা পানের রসের স্বাদ নিচ্ছিল আর কতগুলো বুড়ির গভীর চোখের কোটরে গিয়ে বসেছিল... ভেতরের রুম থেকে গোঙানির মতো করে কান্নার শব্দ ভেসে আসল। আম আর তরমুজ ছিলানোর শব্দও শোনা যাচ্ছিল।

মাছিদের জ্বালায় অতিষ্ঠ বুড়ির ঘুম ভেঙে গেল। মাছি মানুষের চিরন্তন সঙ্গী। সদ্যোজাত বাচ্চার গায়ে বসে ঘ্রাণ নিয়ে এদের যাত্রা শুরু, তারপর সারা জীবন আর পিছু ছাড়ে না মানুষের। ঘুমে হোক, জাগ্রত অবস্থায় হোক, শরীরের অত্যাবশ্যকীয় অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মতো এরা সারা জীবন পিছু ছাড়ে না। একটা বিশেষ মাছি তো তাকে আজীবন জ্বালিয়ে বেড়াচ্ছিল। তিনি যখন লক্ষেèৗতে থাকতেন, তখন এটা প্রথম কামড়েছিল।...

তারপর তিনি উন্নাওতে গেলেন। এটা তাকে আবারও কামড়েছিল সেখানে বর্ষাকালে। উন্নাও থেকে তিনি সন্ধিলা গিয়েছিলেন। সেখানেও এটা তার পিছু নিয়েছিল। এটা যদি তার শরীরের বিশেষ কোনো অঙ্গের সঙ্গে মিশে থাকত, এতদিনে তিনি সেই অংশটা কেটে কোনো একটা মাছির মুখে তুলে দিতেন। কিন্তু এটা তাঁর সারা গায়ে গিজগিজ করে। মাঝেমধ্যে তিনি খুব কাছ থেকে দেখেন মাছিটাকে। সেই একই ডানা, শূল, কোঁকড়ানো পা ও কন্দযুক্ত মাথা। অনেকবার তিনি এটাকে মারতে লক্ষ্য স্থির করেন, কিন্তু ঠিক মুহূর্তে এটা গোত্তা খেয়ে সরে যায়। তিনি খোদার কাছে প্রার্থনাও করেছিলেন এটার মৃত্যুর জন্য। মারতে না পারলেও অন্তত পঙ্গু, খোঁড়া বা একটা ডানা হলেও যদি ভেঙে দিতে পারতেন, তখন মজা দেখতে পারতেন এটা কীভাবে ব্যথায় কাতরায়। কিন্তু তার এই ইচ্ছে কখনো পূরণ হয়নি। হয়তো ঈশ্বর এটার কাছে হার মেনেছেন যেমন তিনি হার মেনেছিলেন শয়তানের কাছে, এবং পরবর্তীতে সেই শয়তান মানবজাতিকে বিপথগামী করে চলছে প্রতিনিয়ত। তিনি ঈশ্বরের কাছে বারবার এই মাছিটার দেহাবসানের জন্য প্রার্থনা করেছিলেন। কিন্তু ...মাছিরাও কি স্বর্গে যাবে এবং সেখানকার পরিবেশ নষ্ট করবে? বুড়ি হাতপাখা দিয়ে হাত, পা ও মুখের চারদিকে বাড়ি দিলেন মাছিটাকে মারার উদ্দেশ্যে।

বউ... ও বউ... দুনিয়ার কোন প্রান্তে তুই? বুড়ি ডাক দিলেন। ভেতরের রুম থেকে বউ তড়িঘড়ি করে বেরিয়ে এলো। তার বুকে ওড়না নেই এবং কোর্তার উপরের অংশটা খোলা। হাতে আমের একটা আঁটি ধরা ছিল, দেখে মনে হলো কিছুক্ষণ আগে কারও সঙ্গে হাতাহাতি করছিল। বউ তারপর তড়িতাহতের মতো ফিরে গিয়ে ওড়না নিয়ে গায়ে জড়াল এবং খাটের পেছনে হাত মুছে ফিরে এলো।

আরে বউ... আমি বলছিলাম... আমার তৃষ্ণা পেয়েছিল।

আসগরও বেরিয়ে এলো শার্ট দিয়ে গলা মুছতে মুছতে।

আম্মা তুমি এখানে। এই দেখ কতগুলো রসালো আম এনেছি! সে এটা বলে আমের বস্তাটা কোলের ওপর তুলে নিল এবং তারপর খাটে বসে পড়ল।

তরমুজ ও আমের ঘ্রাণ পেয়ে বুড়ি তার ওপর মাছির শত অত্যাচারের কথা ভুলে গেলেন। আম দেখে তার ঠোঁট থেকে লালা ঝরার মতো অবস্থা।

এই বউ, একটা ছুরি আনতো।

বউ বাটি হাতে নিয়ে আমের আঁটি চুষে খাচ্ছিল। আসগর পা টেনে বৃদ্ধাঙ্গুল দিয়ে বউয়ের গোড়ালিতে চাপ দিল। বউয়ের হাত থেকে পানি বুড়ির পায়ে পড়তেই তিনি খেঁকিয়ে উঠলেন, তুই কি আঁন্ধা হয়ে গেছিস, হাত থেকে পানি ফেলে আমাকে ভিজিয়ে দিবি? এই বলে তিনি এত জোরে ধাক্কা মারলেন, হাত থেকে ভারী পানির পাত্রটি বউয়ের পায়ের ওপর ধুম করে পড়ল। বউ দাঁতে দাঁত চেপে আসগরের দিকে তাকিয়ে মুহূর্তেই চলে গেল।

আম্মা, এই তো পানি, বাধ্য বালকের মতো আসগর বলল।

বউ রেগে গেছে।

তুই নিজের চিন্তা কর, বলে বুড়ি অভিযোগ করলেন।

কুত্তিটাকে ঝেটিয়ে বিদেয় কর। আম্মি, আরেকটা মেয়ে নিয়ে আসি চলো। এটা... আসগর এটা বলে বউয়ের দিকে মায়াময় দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল।

চুপ কর, বজ্জাত! বুড়ি খেঁকিয়ে উঠলেন।

কেন আম্মি? দেখ সে কীভাবে মোষের মতো মোটা হচ্ছে।

এটা বলে মায়ের নজর এড়িয়ে আসগর বউয়ের কোমরে আঙুলের টোকা দিল। বউ আসগরের গায়ে ছুরি ছুড়ে মারল; কিন্তু এটা বুড়ির সামনে দিয়ে বস্তার ওপর গিয়ে পড়ল।

আম্মা দেখলে?... আমি একে একটা ধোলাই দেব? আসগর উঠে বউয়ের পিঠে এক ঘা লাগিয়ে আবারও খাটে এসে বসল। মায়ের বাধ্য সন্তান সে।

খবরদার!... শোন, তুই যদি আরেকবার ওর গায়ে হাত তুলতে যাস, আমি তোর হাত জোড়া গুঁড়ো করে দেব, বুড়ি তাঁর শত্রুর পক্ষে কথা বললেন। তোর একটা ঠিকঠাকমতো বিয়ে হয়েছিল। সে কি তোর সঙ্গে পালিয়ে এসেছে যে, তুই ওর সঙ্গে এরকম আচরণ করবি?... এই মেয়ে, অল্প জল নিয়ে আয় তো, তাড়াতাড়ি আয়, বুড়ি বউকে আদেশের সুরে বললেন।

বউ পিলারের সঙ্গে হেলান দিয়ে রাগে ফুঁসছিল। বুড়ি যখন আমের খোসা ছড়াচ্ছিলেন সে তার থেঁতলে যাওয়া বুড়ো আঙুলটার ওপর পানির পাত্রটা দিয়ে জোরে চাপ দিলে ফিনকি দিয়ে রক্ত বেরোতে লাগল। তারপর বউ যখন শাশুড়িকে চিনির বয়াম দিতে গেল, তিনি তার আঙুলে রক্তের দাগ দেখলেন

আহা রে মা! রক্ত কেমনে আসল? কিন্তু বউ জবাব না দিয়ে, পিলারের গায়ে হেলান দিয়ে অভিমানে ঠোঁট ফুলিয়ে কাঁদতে লাগল। অন্যদিকে আঙুল বেয়ে রক্ত পড়ছিল।

এই, এদিকে আয়। দেখি দেখি কী হয়েছে? বুড়ি নরম সুরে বললেন।

বউ তার অবস্থান থেকে নড়ল না।

দেখ তো কীভাবে রক্ত ঝরছে। আসগর ওঠ, এদিকে আয়। ঠান্ডা পানি এনে ওর আঙুলের ওপর ঢাল।

শাশুড়িরা গিরগিটির মতো।

আমি পারব না, নাক টেনে জবাব দিল আসগর।

কুত্তার বাচ্চা! বুড়ি বিছানা ছেড়ে উঠে এলেন। আয় মা এদিকে আয়, খাটের ওপর শুয়ে পড়। এই পাত্রটার ওজন প্রায় এক কেজি। পাঁজিটাকে হাজারবার বলেছি, এটা বদলে এ্যালুমিনিয়ামের একটা আনতে। কিন্তু সে একটা কুত্তার বাচ্ছা! আয়, ওঠার চেষ্টা কর। বউ এক ইঞ্চিও নড়ল না। সে নাক ফুলিয়ে কেঁদে কেঁদে ওড়না দিয়ে নাক মুছতে লাগল।

কলসি থেকে পানি ঢাল, বুড়ি রেগে গিয়ে আদেশ করলে আসগর না উঠে পারল না। বুড়ি তাঁর নিষ্প্রভ, কম্পমান হাত দিয়ে রক্তের দাগ ধুয়ে দিচ্ছিলেন। কিন্তু তিনি আত্মনিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন যখন দেখলেন আসগর পানি ঢালার পরিবর্তে বউয়ের বুকের দিকে হা করে চেয়ে আছে। তিনি আরও অনুমান করতে পারলেন, বউ আসগরের কানে কামড় দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল যেহেতু সে খুবই কাছে চলে এসেছিল।

তোর শরীর পোকায় খাক! বলে বুড়ি আসগরের কাঁধে এক ঘা বসিয়ে দিলেন। রেগে গিয়ে সে বউয়ের গায়ে বালতিটা উপুড় করে দিল। তারপর আম খেতে চলে গেল। মা তৎক্ষণাৎ তার ওপর বড় বড় গজব ডাকা শুরু করে দিলেন।

পাঁজি ছেলে, অপেক্ষা কর। তোর মামা আসুক, আমি তোর চামড়া তুলে ছাড়ব। পুরনো কাপড় দিয়ে ক্ষতস্থানটাতে পট্টি লাগাতে লাগাতে তিনি আসগরকে হুমকি দিলেন।

এদিকে আয়, কিছুক্ষণ শুয়ে থাক। বুড়ি আঘাতটাকে সাংঘাতিক মনে করে আসগরকে ডেকে বউকে কোলে করে খাটে নিয়ে যেতে বললেন।

আমি ওকে তুলতে পারি না। সে মোষের মতো ভারী।

তোকে তুলতেই হবে... এখন, তুই আমার কথা শুনবি, নাকি... আসগর নড়ছে না দেখে শাশুড়ি নিজেই বউকে কোলে নেওয়ার চেষ্টা করলেন।

শাশুড়ির কোলে চড়তে গিয়ে সুড়সুড়ি খেতে হবে এই ভয়ে বউ বলল, আম্মা আমি নিজে উঠতে পারব।

না, মা... আমি... তিনি আজগরের দিকে এমনভাবে তাকালেন আজগর ভয় পেয়ে গেল।

কাল বিলম্ব না করে আজগর উঠে এলো এবং তড়িৎ বউকে কোলে তুলে নিয়ে খাটের দিকে দৌড় দিল। পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে বউ আজগরের ঘাড়ে একটা আস্ত কামড় বসিয়ে দিল যেখানে একটু আগে বুড়ি থাবা বসিয়েছিলেন। পর্যুদস্ত আসগর বউকে খাটে ছুড়ে ফেলে তার গোলাপি ঠোঁটে সশব্দ চুম্বন এঁকে দিল।

বউ এবার বিজয়ের হাসি হাসতে লাগল, আর আসগর তার কাঁধের আহত জায়গাটাতে হাত বুলাতে বুলাতে গজগজ করতে লাগল। শাশুড়ি ওজু করছিলেন এবং আসমানের দিকে তাকিয়ে কি যেন আওড়াচ্ছিলেন। কে জানে উনি কি আওড়াচ্ছিলেন? সম্ভবত তিনি তাঁর বেহায়া বউকে অভিসম্পাত করছিলেন।

টপিক

এই বিভাগের আরও খবর
চিঠিসংকট
চিঠিসংকট
তোমরা তখন ঘুমিয়ে
তোমরা তখন ঘুমিয়ে
রাধা
রাধা
তুমি কিন্তু চাইলেই পার
তুমি কিন্তু চাইলেই পার
পরিণামে ভিন্ন ফল
পরিণামে ভিন্ন ফল
বিশ্বজিৎ চৌধুরীর কবরী
বিশ্বজিৎ চৌধুরীর কবরী
ছায়াপথের অন্তর্ধান
ছায়াপথের অন্তর্ধান
বাংলা বর্ষবরণ
বাংলা বর্ষবরণ
উৎপল
উৎপল
নারিন্দার মেয়ে
নারিন্দার মেয়ে
প্রেম; তোমাকে-আমাকে
প্রেম; তোমাকে-আমাকে
গহিন কাব্য
গহিন কাব্য
সর্বশেষ খবর
গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় শেষ ১০ জনের পুরো পরিবার
গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় শেষ ১০ জনের পুরো পরিবার

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ছাত্রদল নেতা মিলনের পরিবারের খোঁজ নিলেন তারেক রহমান
ছাত্রদল নেতা মিলনের পরিবারের খোঁজ নিলেন তারেক রহমান

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

স্থায়ীভাবে শুল্ক প্রত্যাহারে জোরদার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে
স্থায়ীভাবে শুল্ক প্রত্যাহারে জোরদার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে

২ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

ওয়াক্ফ বিলের প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল মুর্শিদাবাদ, বিএসএফ মোতায়েন
ওয়াক্ফ বিলের প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল মুর্শিদাবাদ, বিএসএফ মোতায়েন

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৮ হাতির অস্বাভাবিক মৃত্যু
১৮ হাতির অস্বাভাবিক মৃত্যু

২ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

স্ত্রীকে তালাকের পর দুধ দিয়ে গোসল করলেন প্রবাসী
স্ত্রীকে তালাকের পর দুধ দিয়ে গোসল করলেন প্রবাসী

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মহেশপুর সীমান্তে নদীতে ভাসছে বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ
মহেশপুর সীমান্তে নদীতে ভাসছে বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

'বিনিয়োগ বাড়াতে হলে দেশে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে'
'বিনিয়োগ বাড়াতে হলে দেশে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে'

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সিলেট কারাগারে আসামির সঙ্গে বাদীর বিয়ে
সিলেট কারাগারে আসামির সঙ্গে বাদীর বিয়ে

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে নোয়াখালীতে বিক্ষোভ
ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে নোয়াখালীতে বিক্ষোভ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অনূর্ধ্ব-১৬ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন গোপালগঞ্জ জেলা দলকে সংবর্ধনা
অনূর্ধ্ব-১৬ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন গোপালগঞ্জ জেলা দলকে সংবর্ধনা

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পবিপ্রবিতে কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা শনিবার, চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা
পবিপ্রবিতে কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা শনিবার, চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বরগুনার মান্নুর জীবনে ২৪ বছর পর ফিরলেন ডেনমার্কের মারিয়া
বরগুনার মান্নুর জীবনে ২৪ বছর পর ফিরলেন ডেনমার্কের মারিয়া

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বগুড়ায় বাসের ধাক্কায় ভ্যানচালকসহ নিহত ২
বগুড়ায় বাসের ধাক্কায় ভ্যানচালকসহ নিহত ২

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সম্পত্তির জন্য বাবাকে বেঁধে গরম পানি ঢেলে নির্যাতন
সম্পত্তির জন্য বাবাকে বেঁধে গরম পানি ঢেলে নির্যাতন

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভাইরাল, বিজনেস ক্লাসে ঘুমিয়ে নাক ডাকছিলেন এয়ার ইন্ডিয়ার সব ক্রু!
ভাইরাল, বিজনেস ক্লাসে ঘুমিয়ে নাক ডাকছিলেন এয়ার ইন্ডিয়ার সব ক্রু!

৭ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

এই সরকারের ৫ বছর ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই: সেলিমা রহমান
এই সরকারের ৫ বছর ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই: সেলিমা রহমান

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে পটুয়াখালী বিক্ষোভ মিছিল
গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে পটুয়াখালী বিক্ষোভ মিছিল

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টাঙ্গাইলে শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগে আটক ১
টাঙ্গাইলে শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগে আটক ১

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঢাকায় হয়নি পাকিস্তানি গায়ক মুস্তাফার কনসার্ট, উধাও আয়োজক!
ঢাকায় হয়নি পাকিস্তানি গায়ক মুস্তাফার কনসার্ট, উধাও আয়োজক!

৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীত করা দেশবাসীর দাবি : ডা. শাহাদাত
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীত করা দেশবাসীর দাবি : ডা. শাহাদাত

৭ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

লক্ষ্মীপুরে রংমিস্ত্রিকে কুপিয়ে হত্যা
লক্ষ্মীপুরে রংমিস্ত্রিকে কুপিয়ে হত্যা

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জুলাই ফাউন্ডেশনের অর্থ আত্মসাৎ, নাগরিক কমিটির নেত্রী কারাগারে
জুলাই ফাউন্ডেশনের অর্থ আত্মসাৎ, নাগরিক কমিটির নেত্রী কারাগারে

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে নওগাঁয় মানববন্ধন
গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে নওগাঁয় মানববন্ধন

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৬৪ জেলা নিয়ে ফুটবল টুর্নামেন্টের ঘোষণা ক্রীড়া উপদেষ্টার
৬৪ জেলা নিয়ে ফুটবল টুর্নামেন্টের ঘোষণা ক্রীড়া উপদেষ্টার

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দেশে নতুন সংকট তৈরির চেষ্টা হচ্ছে : নুর
দেশে নতুন সংকট তৈরির চেষ্টা হচ্ছে : নুর

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ মিরাজ, জনপ্রিয়তায় শীর্ষে ঋতুপর্ণা
বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ মিরাজ, জনপ্রিয়তায় শীর্ষে ঋতুপর্ণা

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নৌবাহিনীর অভিযানে কুতুবদিয়ায় আগ্নেয়াস্ত্রসহ আটক ১
নৌবাহিনীর অভিযানে কুতুবদিয়ায় আগ্নেয়াস্ত্রসহ আটক ১

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাংলাদেশ নামের পরিবর্তন নয়, প্রজাতন্ত্রকে ‘জনকল্যাণ’ করার প্রস্তাব
বাংলাদেশ নামের পরিবর্তন নয়, প্রজাতন্ত্রকে ‘জনকল্যাণ’ করার প্রস্তাব

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মালয়েশিয়ায় ৯৮ বাংলাদেশিসহ ২৮৮ অবৈধ অভিবাসী আটক
মালয়েশিয়ায় ৯৮ বাংলাদেশিসহ ২৮৮ অবৈধ অভিবাসী আটক

৮ ঘণ্টা আগে | পরবাস

সর্বাধিক পঠিত
উত্তরায় হোটেল থেকে নারীসহ আটক ১৫
উত্তরায় হোটেল থেকে নারীসহ আটক ১৫

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বদলে গেল নববর্ষের ‘মঙ্গল শোভাযাত্রার’ নাম
বদলে গেল নববর্ষের ‘মঙ্গল শোভাযাত্রার’ নাম

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি নিয়ে যে আহ্বান জানালেন আজহারী
‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি নিয়ে যে আহ্বান জানালেন আজহারী

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশকে স্বাগত জানিয়ে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশকে স্বাগত জানিয়ে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বকালের সেরা বিদ্যুৎ ‘চোর’ সাবেক প্রতিমন্ত্রী বিপু : সিদ্দিকী নাজমুল
সর্বকালের সেরা বিদ্যুৎ ‘চোর’ সাবেক প্রতিমন্ত্রী বিপু : সিদ্দিকী নাজমুল

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মডেল মেঘনাকে হেফাজতে নেওয়ার কারণ জানাল ডিএমপি
মডেল মেঘনাকে হেফাজতে নেওয়ার কারণ জানাল ডিএমপি

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গোসলের পানি নিয়ে বিরক্ত ট্রাম্প, তাই নতুন নির্বাহী আদেশ
গোসলের পানি নিয়ে বিরক্ত ট্রাম্প, তাই নতুন নির্বাহী আদেশ

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম ইতিহাসে সর্বোচ্চ
বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম ইতিহাসে সর্বোচ্চ

১৬ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি নিয়ে জরুরি ৫ নির্দেশনা
‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি নিয়ে জরুরি ৫ নির্দেশনা

১৩ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টার হিন্দুস্তানের প্রতিনিধিত্ব করে: জাগপা ছাত্রলীগ
প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টার হিন্দুস্তানের প্রতিনিধিত্ব করে: জাগপা ছাত্রলীগ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন লোগো প্রকাশ করল বাংলাদেশ পুলিশ
নতুন লোগো প্রকাশ করল বাংলাদেশ পুলিশ

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১২ এপ্রিলের সমাবেশ নিয়ে শায়খ আহমাদুল্লাহর ফেসবুক পোস্ট
১২ এপ্রিলের সমাবেশ নিয়ে শায়খ আহমাদুল্লাহর ফেসবুক পোস্ট

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাল্টা প্রতিশোধ, মার্কিন পণ্যে চীনের ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ
পাল্টা প্রতিশোধ, মার্কিন পণ্যে চীনের ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হার্ভার্ডের পাশেই বিলাসবহুল যৌনপল্লি, গ্রেফতার ভারতীয় বংশোদ্ভূত অনুরাগ
হার্ভার্ডের পাশেই বিলাসবহুল যৌনপল্লি, গ্রেফতার ভারতীয় বংশোদ্ভূত অনুরাগ

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আশিক চৌধুরী ইস্যুতে ক্ষমা চাইলেন ছাত্রদলের সেই নেত্রী
আশিক চৌধুরী ইস্যুতে ক্ষমা চাইলেন ছাত্রদলের সেই নেত্রী

১৪ ঘণ্টা আগে | ফেসবুক কর্নার

সিদ্ধিরগঞ্জে বস্তায় মিলল দুই নারী ও এক শিশুর মরদেহ
সিদ্ধিরগঞ্জে বস্তায় মিলল দুই নারী ও এক শিশুর মরদেহ

১৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কারাগারে পাঠানো হলো ‘ক্রিম আপা’কে
কারাগারে পাঠানো হলো ‘ক্রিম আপা’কে

১২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আইপিএলে ইতিহাস গড়লেন কোহলি
আইপিএলে ইতিহাস গড়লেন কোহলি

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর গাড়িতে বিস্ফোরক-হামলা
পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর গাড়িতে বিস্ফোরক-হামলা

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নিয়োগে সুপারিশের আশায় আমার কাছে কেউ আসবেন না : সারজিস
নিয়োগে সুপারিশের আশায় আমার কাছে কেউ আসবেন না : সারজিস

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জুলাই ফাউন্ডেশনের অর্থ আত্মসাৎ, নাগরিক কমিটির নেত্রী কারাগারে
জুলাই ফাউন্ডেশনের অর্থ আত্মসাৎ, নাগরিক কমিটির নেত্রী কারাগারে

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

‘ফিলিস্তিনের জন্য সব মুসলিম রাষ্ট্রের ওপর এখন সশস্ত্র জিহাদ ফরজ হয়ে গেছে’
‘ফিলিস্তিনের জন্য সব মুসলিম রাষ্ট্রের ওপর এখন সশস্ত্র জিহাদ ফরজ হয়ে গেছে’

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হেলিকপ্টারে উঠার আগের ছবিটিই শেষ স্মৃতি!
হেলিকপ্টারে উঠার আগের ছবিটিই শেষ স্মৃতি!

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পিএসএল ছেড়ে আইপিএল বেছে নেওয়ায় প্রোটিয়া ক্রিকেটার নিষিদ্ধ
পিএসএল ছেড়ে আইপিএল বেছে নেওয়ায় প্রোটিয়া ক্রিকেটার নিষিদ্ধ

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রাশিয়াকে ঠেকাতে ইউক্রেনকে আরও ৪৫০ মিলিয়ন পাউন্ড দেবে যুক্তরাজ্য
রাশিয়াকে ঠেকাতে ইউক্রেনকে আরও ৪৫০ মিলিয়ন পাউন্ড দেবে যুক্তরাজ্য

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বরগুনার মান্নুর জীবনে ২৪ বছর পর ফিরলেন ডেনমার্কের মারিয়া
বরগুনার মান্নুর জীবনে ২৪ বছর পর ফিরলেন ডেনমার্কের মারিয়া

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্লাসটিক বিউটির ভিতরে প্লাসটিকের মন; ঐশ্বরিয়া প্রসঙ্গে বিবেক
প্লাসটিক বিউটির ভিতরে প্লাসটিকের মন; ঐশ্বরিয়া প্রসঙ্গে বিবেক

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

দেশে নতুন সংকট তৈরির চেষ্টা হচ্ছে : নুর
দেশে নতুন সংকট তৈরির চেষ্টা হচ্ছে : নুর

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

১৪টি নতুন তেল ও গ্যাস ফিল্ডের সন্ধান পেয়েছে সৌদি
১৪টি নতুন তেল ও গ্যাস ফিল্ডের সন্ধান পেয়েছে সৌদি

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
সমমনাদের আসন ছাড়বে বিএনপি
সমমনাদের আসন ছাড়বে বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

হিসাব কষছেন আমলারাও
হিসাব কষছেন আমলারাও

পেছনের পৃষ্ঠা

রাত হলেই আতঙ্ক বাড়ে নগরে
রাত হলেই আতঙ্ক বাড়ে নগরে

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

লাম্বার মৃত্যু এখনো কাঁদায় অপিকে
লাম্বার মৃত্যু এখনো কাঁদায় অপিকে

মাঠে ময়দানে

সুস্থ হয়ে উঠছে সেই আহত নীলগাই নেওয়া হবে গাজীপুরে
সুস্থ হয়ে উঠছে সেই আহত নীলগাই নেওয়া হবে গাজীপুরে

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রথম আলোর ঈদ শুভেচ্ছা কার্টুনে কুকুরের ছবি
প্রথম আলোর ঈদ শুভেচ্ছা কার্টুনে কুকুরের ছবি

প্রথম পৃষ্ঠা

থমকে গেছে উত্তরের ২০০ নদীর প্রবাহ
থমকে গেছে উত্তরের ২০০ নদীর প্রবাহ

নগর জীবন

ঢাকার বাইরে বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
ঢাকার বাইরে বেহাল স্বাস্থ্যসেবা

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজারবাগে মানবেতর জীবন
রাজারবাগে মানবেতর জীবন

পেছনের পৃষ্ঠা

আকাশছোঁয়া ইলিশ সবজির দামও চড়া
আকাশছোঁয়া ইলিশ সবজির দামও চড়া

পেছনের পৃষ্ঠা

সাড়া নেই নতুন দল নিবন্ধনে
সাড়া নেই নতুন দল নিবন্ধনে

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রথম আলো-ডেইলি স্টার বর্জনের আহ্বান জাগপা ছাত্রলীগের
প্রথম আলো-ডেইলি স্টার বর্জনের আহ্বান জাগপা ছাত্রলীগের

প্রথম পৃষ্ঠা

বাণিজ্যযুদ্ধে বেসরকারি খাতকে পাশে নিতে হবে
বাণিজ্যযুদ্ধে বেসরকারি খাতকে পাশে নিতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশকে মেরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে ছিনতাই
পুলিশকে মেরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে ছিনতাই

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, পাঁচজনকে কুপিয়ে জখম
বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, পাঁচজনকে কুপিয়ে জখম

প্রথম পৃষ্ঠা

হারিয়ে গেছে টিভির প্রমিত শুদ্ধ বাংলা
হারিয়ে গেছে টিভির প্রমিত শুদ্ধ বাংলা

শোবিজ

মা হলেন ধর্ষণের শিকার কিশোরী!
মা হলেন ধর্ষণের শিকার কিশোরী!

দেশগ্রাম

দরজায় কড়া নাড়ছে বৈশাখ
দরজায় কড়া নাড়ছে বৈশাখ

পেছনের পৃষ্ঠা

সংস্কার শেষে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন
সংস্কার শেষে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন

প্রথম পৃষ্ঠা

সন্দেহভাজনকে ভারতের হাতে হস্তান্তর
সন্দেহভাজনকে ভারতের হাতে হস্তান্তর

পূর্ব-পশ্চিম

৬ শতাধিক বিদেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করল ট্রাম্প প্রশাসন
৬ শতাধিক বিদেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করল ট্রাম্প প্রশাসন

পূর্ব-পশ্চিম

উড়াল দিলেন বুবলী...
উড়াল দিলেন বুবলী...

শোবিজ

বগুড়া সিটি করপোরেশন ঘোষণার সিদ্ধান্ত
বগুড়া সিটি করপোরেশন ঘোষণার সিদ্ধান্ত

দেশগ্রাম

নকল কারখানা সিলগালা
নকল কারখানা সিলগালা

দেশগ্রাম

বিজু উপলক্ষে সহায়তা
বিজু উপলক্ষে সহায়তা

দেশগ্রাম

জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের আহ্বান
জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের আহ্বান

দেশগ্রাম

জামায়াত নেতাকে কুপিয়ে জখম ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
জামায়াত নেতাকে কুপিয়ে জখম ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

দেশগ্রাম

বিদেশি পিস্তলসহ যুবক আটক
বিদেশি পিস্তলসহ যুবক আটক

দেশগ্রাম

দুরারোগ্য রোগ
দুরারোগ্য রোগ

সম্পাদকীয়