প্রয়াত অভিনেতা ওম পুরী সহজ ভাষায় প্রেমিক মানুষ ছিলেন। তিনি বহু বার প্রেমে পড়েছেন। একজনের না অনেক নারীর।
ওম পুরীর প্রথম স্ত্রী সীমা কাপুর সেই পরিস্থিতির কথা স্মরণ করেছিলেন যখন তিনি সম্পর্কে বিশ্বাসঘাতকতার সম্মুখীন হয়েছিলেন। তাঁর স্ত্রী একবার জানিয়েছিলেন তাঁর নানা প্রেম প্রসঙ্গে। এমনকি বিয়ের একদিন আগেও এমন একজনের সঙ্গে প্রেমে পড়ার স্বীকারোক্তি দিয়েছিলেন ওম যে তাঁর স্ত্রী ভাষা হারিয়েছিলেন। তাদের বিবাহ বেশি দিন স্থায়ী হয়নি, যদিও তারা সেই সময়ে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে একে অপরকে চিনতেন।
সিদ্ধার্থ কান্নানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সীমা বলেন, "১৯৮৯ সালে আমাদের আশীর্বাদ হয় এবং আমি জানি না কেন, কিন্তু দুই পরিবারই আমাদের বিয়ে করার জন্য তাড়াহুড়ো করেছিল। অন্নু ভাইয়া (অন্নু কাপুর) শুটিংয়ে বাইরে ছিলেন এবং তিনি খুব বিরক্ত হয়েছিলেন যে তিনি অন্য একজনের মাধ্যমে তার প্রিয় বোনের বাগদানের কথা জানতে পেরেছিলেন। তখনকার দিনে মোবাইল ছিল না। কিন্তু কেউ বিশ্বাস করবে না, বিয়ের ঠিক আগে সে আমাকে বাড়ির পরিচারিকার সঙ্গে তার সম্পর্কের কথা জানায়।"
এই খবরে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে সীমা জানান তিনি হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলেন এই ঘটনায়। তিনি বলেন, 'আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়ে গিয়েছিল, আমাদের রিসেপশনও পুরো সেট হয়ে গিয়েছিল। আমরা একটি ছোট শহর ঝালাওয়ারের মানুষ, যেখানে আমার বাবা-মা অত্যন্ত সম্মানিত ব্যক্তি ছিলেন। ওম আমাকে নদীর পাশে নিয়ে গেলেন এবং বললেন যে তার আমাকে কিছু বলার আছে। উনি জানান যে বাড়ির পরিচারিকার সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক দানা বেঁধেছে। বিয়েটা হওয়ার একদিন আগে বাতিল করার সাহস আমার ছিল না।
ওমের চেয়ে নিজের আত্মসম্মান বেছে নেওয়ার মধ্যে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে তিনি বলেছিলেন যে মূলত সামাজিক চাপের কারণে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। "বিষয়টা হজম করার জন্য কিছু সময় প্রয়োজন ছিল। আমি বুঝতে পারছিলাম না কেন তিনি কথাটা আমায় আগে বললেন না তখন কেন বললেন? তিনি যদি আমাকে আরও আগে বলতেন, তাহলে হয়তো পরিস্থিতি অন্যরকম হতে পারত। সামন্ততান্ত্রিক পুরুষ মন এভাবেই কাজ করে। তারা আপনাকে এই ভেবে গ্যাসলাইট করার চেষ্টা করে যে তারা সৎ ছিল। কিন্তু, তিনি যে মাইন্ড গেম খেলতে পারে, এমন পুরুষ মানুষ তিনি ছিলেন না।" যদিও, সেই পরিচারিকা নন, বরং তারপর নন্দিতা নামক এক সাংবাদিকের প্রেমেও পড়েছিলেন তিনি।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ