পঞ্চগড়ের সীমান্ত থেকে উদ্ধার হওয়া বিলুপ্ত প্রজাতির সেই নীলগাইটি আস্তে আস্তে সুস্থ হয়ে উঠছে। বনবিভাগের একটি ঘরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে নীলগাইটি। আজ গাজীপুর সাফারি পার্ক থেকে একটি প্রতিনিধিদল পঞ্চগড়ে এসে নীলগাইটির স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ করবে। পরিপূর্ণ সুস্থ হলে নীলগাইটিকে প্রথমে গাজীপুর ও পরে চট্টগ্রামের ডুলহাজরা সাফারি পার্কে রাখা হবে। গত বুধবার সদর উপজেলার চাকলাহাট ইউনিয়নের জয়ধরডাঙ্গা এলাকা থেকে বিলুপ্ত প্রজাতির আহত নীলগাই উদ্ধার করে বনবিভাগ। স্ত্রী লিঙ্গের এই নীলগাইটির সঙ্গে গাজীপুর সাফারি পার্ক থেকে একটি পুরুষ নীলগাই নেওয়া হবে।
ভারত থেকে কাঁটাতার পেরিয়ে নীলগাইটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়ে। এ সময় শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পেয়েছে। পরে প্রাণিসম্পদ অফিসে প্রয়োজনীয় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে নীলগাইটিকে পঞ্চগড় বনবিভাগে রাখা হয়। পঞ্চগড় বনবিভাগের রেঞ্জার হরিপদ বাবু জানান, চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে উঠছে নীলগাইটি। আজ গাজিপুর সাফারি পার্ক থেকে একটি প্রতিনিধিদল নীলগাইটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেখবেন। তারপর তারা প্রথমে গাজীপুর ও পরে চট্টগ্রামের ডুলহাজরা সাফারি পার্কে উন্মুক্ত করা হবে। আমাদের দেশে এই নীলগাই বিলুপ্তির পথে। এটি ভারত থেকে সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। স্থানীয়রা জানান, বুধবার দুপুরে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করে নীলগাইটি। পরে শত শত মানুষ হরিণ ভেবে এটিকে তাড়া করেস। বিকালে জয়ধরডাঙ্গা এলাকার পাঙ্গা নদীতে ঝাঁপ দেয় নীলগাইটি। সেখানে চারপাশ ঘিরে নীলগাইটিকে ধরে বেঁধে রাখেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে স্থানীয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তারা নীলগাইটি উদ্ধার করে বিজিবি ক্যাম্পে নিয়ে আসেন। পরে বনবিভাগের বিট কর্মকর্তা জয়নুল আবেদিন নীলগাইটিকে নিয়ে এসে প্রাণিসম্পদ হাসপাতালে চিকিৎসা দেন।