মাদারীপুরের কালকিনিতে মাদকসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে। পরে পুলিশের ওপর হামলা করে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাসহ দুজন মাদক ব্যবসায়ীকে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। হাতকড়া পরানো অবস্থায় ওই মাদক ব্যবসায়ীদের ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি। এ সময় পুলিশের ওপর হামলা করলে ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে কালকিনি থানা ভবন সংলগ্ন মাছ বাজারে এ ঘটনা ঘটে। আটকরা হলেন কালকিনি পৌর এলাকার ঠেঙ্গামারা গ্রামের সিরাজ খানের ছেলে ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. বাকামিন খানের বড় ভাই উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. রাসেদ খান ও একই গ্রামের মো. মোস্তফা সরদারের ছেলে মো. আল আমিন সরদার। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক প্রতক্ষদর্শী জানান, পুলিশ মাদকসহ দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে হাতকড়া পড়ায়। এ সময় পুলিশ সদস্য কম ছিল। এ সময় উপজেলার ছাত্রলীগের সভাপতি মো. বাকামিন খানের লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা করে পুলিশের কাছ থেকে আসামিদের ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এতে ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
কালকিনি থানার এএসআই মো. সোহেল রানা বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসআই মো. আবুল বাশারের নেতৃত্বে আমরা কয়েকজন মিলে থানা ভবনসংলগ্ন মাছ বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে উপজেলার ছাত্রলীগ সভাপতি মো. বাকামিন খানের বড় ভাই উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. রাসেদ খান ও একই গ্রামের মো. মোস্তফা সরদারের ছেলে মো. আল আমিন সরদারকে ৫ পিস ইয়াবাসহ আটক করি। পরে আটকদের সহযোগীরা আমাদের কাছ থেকে তাদের দুজনকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তারের পর তাদের সহযোগীরা তাদের ছিনিয়ে নেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। এতে ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। পুলিশের ওপর হামলা ও আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় পৃথক মামলা হবে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।