আমার এক ছোটভাই বললো, বৃষ্টির এই যে ধরনটা, মানে হুটহাট শুরু হয়ে যাওয়া, এই ধরনটা আগে আমার পছন্দ ছিল না। কিন্তু এখন দারুণ পছন্দ। আমি জানতে চাইলাম, কেন? ছোটভাই বললো, আগে বয়স কম ছিল। এখন তো বাড়তে বাড়তে একেবারে কম বাড়েনি। মোটামুটি ভালোই বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে ভুঁড়ি। ডাক্তার কতবার কতভাবে বললো, ব্যায়াম যাতে করি। বিশেষ করে যাতে দৌড়াই। কিন্তু আমি বিরাট অলস। নড়ি না। দৌড়াবো দূরের কথা। কিন্তু হুটহাট বৃষ্টি নামলে দৌড়াতে বাধ্য। এতে ব্যায়ামটা করা হয়ে যায়। আমি বললাম, এটা তো কমন ব্যাপার। সবার ক্ষেত্রেই হয়। এটা এত ঘটা করে বলার কী আছে? ছোট ভাই বললো, আপনি কিন্তু আসল ব্যাপারটাই ধরতে পারলেন না। হুটহাট বৃষ্টি এলে সবাই যে ঝেড়ে দৌড়ায়, আমি সেই দৌড়ের কথা বলছি না। আমি বলছি বউয়ের আদেশ পালনের কথা। এবার আমার অবাক হওয়ার পালা, বউয়ের আদেশ পালন মানে? ছোটভাই বললো, না, মানে বৃষ্টি পড়তে শুরু করলেই আমার বউ চেঁচিয়ে ওঠে তো! বলে ছাদ থেকে কাপড় নিয়ে আসতে। ব্যস, একগাদা কাপড় ছাদ থেকে আনতে গিয়ে কতবার যে ওঠানামা করতে হয় রে ভাই! ব্যায়াম আর কাকে বলে! ছোটভাইয়ের কথাটা আমি গভীরভাবে অনুভব করার জন্য খানিকটা ঝিম মারলাম। একটু পরেই দেখি সে আমার খুব কাছে এসে বসেছে। বুঝলাম, বিশেষ কিছু বলবে। আমি তার দিকে তাকাতেই সে বললো, হুটহাট বৃষ্টি আমার দাম্পত্য কলহের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমি বললাম, একটু আগেই না বললি এই ধরনের বৃষ্টি নাকি তোর পছন্দ? এখন আবার দাম্পত্য কলহের কথা বলছিস কেন? ছোটভাই বললো, ভাই, যা বলেছি, আবেগে বলেছি। কিন্তু আবেগ দিয়ে তো জীবন চলে না। বাস্তবতা হচ্ছে, হুটহাট বৃষ্টি নামলেই আমার বউ খোঁটা দেয় আর পুরনো স্মৃতি মনে করিয়ে দেয়। আমি জানতে চাইলাম, কী ধরনের খোঁটা? কী ধরনের স্মৃতি? ছোটভাই বললো, যে এখন আমার বউ, তার এক বান্ধবীর সঙ্গে আমার হালকা প্রেম ছিল। বিয়ের আগে আর কি। তো একদিন হুট করে বৃষ্টি নামলো। আমি করলাম কী, তার ওপর ছাতা ধরলাম। আর এটা দেখে ফেলেছিল আমার বউ। মানে বর্তমান বউ। সে এখন বৃষ্টি নামলেই খোঁটা দেয়, কী হে, অমুকের মাথার ওপর ছাতা ধরবা না? চিন্তা করেন ভাই, এই এক খোঁটা আর কত সহ্য করা যায়! কাঁহাতক সহ্য করা যায়! অবশ্য ছাতা ধরার রেকর্ড আমার আরেকটা আছে। একদিন হুট করে বৃষ্টি নামার সঙ্গে সঙ্গে পাশের ফ্ল্যাটের ভাবির মাথার ওপর ছাতা ধরেছিলাম। এটাও দুর্ভাগ্যবশত আমার বউ দেখে ফেলেছিল। কপাল খারাপ আর কাকে বলে। আমি বললাম, এক কাজ কর, তোর বাসা থেকে ছাতা জিনিসটা হাওয়া করে দে। মানে বাসায় কোনো ছাতাই থাকবে না। তাহলে দেখবি এই জিনিসকে কেন্দ্র করে তোর বউ আর খোঁটা দিতে পারবে না। ছোটভাই বললো, আপনি আমার বউকে চেনেন না ভাই। বাসায় যদি ছাতা না থাকে, তাহলে সে ইন্টারনেট থেকে ছাতার ছবি আপলোড করবে। তবু আমার সঙ্গে ঝগড়া করেই ছাড়বে। আমাকে খোঁটা দিয়েই ছাড়বে। তবে কারণও আছে। মানে ছাতা নিয়ে আরও আবেগঘন ঘটনাও আছে। আমি অতি আগ্রহের সঙ্গে জানতে চাইলাম, কী ধরনের ঘটনা? ছোটভাই বললো, এই যে বললাম, আবেগঘন ঘটনা। না, মানে হুটহাট বৃষ্টি নামতেই আমি একবার আমার এক কলিগকে ছাতা দিয়ে দিয়েছিলাম। নারী কলিগ। তার নাম ছিল বৃষ্টি। এ খবরও কীভাবে জানি আমার বউয়ের কানে এসেছে। হায় বৃষ্টি!
শিরোনাম
- রাজধানীর কয়েক জায়গায় সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা
- ডাসারে ‘মাইজপাড়া’ খাল উদ্ধারে উপজেলা প্রশাসন
- কুলাউড়ায় দুর্নীতিবিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ
- এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কলম বিরতি কর্মসূচি আরও একদিন বাড়ল
- সন্ধ্যায় জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন ইশরাক
- পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বাড়িতে আগুন
- বগুড়ায় কিন্ডার গার্টেন কল্যাণ এসোসিয়েশনের বৃত্তি প্রদান
- বাংলাদেশ যেন ঋণের ফাঁদে না পড়ে : অধ্যাপক আবু আহমেদ
- নড়াইলে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্র নিহত
- ‘নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার দেশ পরিচালনা করুক’
- চট্টগ্রাম সিটির সাবেক কাউন্সিলর তৌফিক ঢাকায় বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার
- শ্রীপুরে মাদকের বিরুদ্ধে সচেতনতা কর্মসূচি
- ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ১০ স্বর্ণের বার উদ্ধার
- কারা বিএনপির সদস্য হতে পারবেন, জানালেন আমীর খসরু
- গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
- বিয়ের আট দিনের মাথায় স্বামীকে হত্যার অভিযোগ স্ত্রীর বিরুদ্ধে
- যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক নিয়ে ভয়ের কিছু নেই : দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য
- গাইবান্ধায় ঐতিহ্যবাহী সুরবানী সংসদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত
- সাম্য হত্যা মামলা : গ্রেফতার তিনজন ৬ দিনের রিমান্ডে
- রিমান্ড শেষে কারাগারে মমতাজ
হুটহাট বৃষ্টিতে
ইকবাল খন্দকার
প্রিন্ট ভার্সন
