তুচ্ছ ঘটনায় ভাঙ্গায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ৬৫ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৪৫ জনকে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহত পাঁচজনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রায় আড়াই ঘণ্টাব্যাপী এ সংর্ঘষের সময় কয়েকটি বাড়িঘর, দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের গোপীনাথপুর ও ছোট হামিরদী গ্রামের মধ্যে গতকাল বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী ও আহত রোগীদের সূত্রে জানা যায়, পাশাপাশি অবস্থিত হামিরদী ইউনিয়নের ছোট হামিরদী ও গোপীনাথপুর গ্রামের প্রভাবশালী দুই পক্ষের মধ্যে কথাকাটির জেরে এ সংঘর্ষ হয়। একপক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন ছোট হামিরদী গ্রামের লিটন মাতুব্বর (৫৫)। অপর পক্ষের নেতৃত্ব দেন গোপীনাথপুর গ্রামের কুদ্দুস মুন্সী (৬০)। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ছোট হামিরদী গ্রামের এক মুদি দোকানে লিটন মাতুব্বরের পক্ষের সাইমন শেখের সঙ্গে অপর পক্ষের নেতা কুদ্দুস মুন্সীর জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তর্কবিতর্ক হয়। একপর্যায়ে উত্তেজিত দুজন হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়লে উপস্থিত লোকজন তাৎক্ষণিকভাবে দুজনকে নিবৃত্ত করে। তবে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সকালে দুই পক্ষ ঢাল, সড়কি, টেঁটা, রামদাসহ দেশি অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষের প্রস্তুতি নেয়। এ খবর পেয়ে আশপাশের গ্রামের মুরুব্বিরা এসে দুই পক্ষকে নিবৃত্ত করে সালিশ বৈঠকের কথা বলেন। দুই পক্ষ সালিশ বসতে রাজি হয়। গতকাল বিকালে সালিশ বৈঠক বসার কথা ছিল। কিন্তু সালিশ বৈঠক বসার আগেই দুই পক্ষের শত শত লোকজন ঢাল, সড়কি, রামদা, টেঁটা ও ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে নেমে পড়ে। বিকাল ৪টার দিকে শুরু হয়ে এ সংঘর্ষ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত চলে।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছি। বেপরোয়া গ্রামবাসীকে নিয়ন্ত্রণ করতে বেশ কষ্ট হয়েছে। স্থানীয় আধিপত্য নিয়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।