বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, কোনো কোনো দল মনে করছেন তারা ক্ষমতায় এসে উনারা আওয়ামী স্টাইলে নির্বাচন করবেন। কিন্তু আমরা বলতে চাই বাংলাদেশে এটা আর হবে না ইনশাআল্লাহ। সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দিতে হবে। ইউনূস সরকার নির্বাচনের যে রোডম্যাপ দিয়েছেন সেই ডেডলাইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সংস্কার করে নির্বাচন দিতে হবে, তা না হলে এ সরকারকে আর কেউ বিশ্বাস করবে না। গতকাল দুপুরে পাবনার সুজানগর কমিউনিটি সেন্টারে পাবনা-২ আসনের (সুজানগর-বেড়ার একাংশ) কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রফিকুল ইসলাম খান আরও বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চায়। কিন্তু এই পরিবেশ বিঘ্নিত করতে কেউ কেউ চেষ্টা করছেন। কেউ কেউ মনে করছেন আওয়ামী লীগ চলে গেছে উনারা দেশের মালিক হয়ে গেছেন। এ জন্য সবাইকে মনে রাখতে হবে হাসিনার মতো মানুষকে এই দেশের মানুষ বিদায় করেছেন। আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, আমাদের কেউ চক্ষু রাঙিয়ে কথা বলার চেষ্টা করবেন না, আমরা কারও চক্ষু রাঙানিকে পরোয়া করি না। পাবনা-২ আসনে জামায়াতের সংসদ সদস্য প্রার্থী অধ্যাপক কে এম হেসাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন পাবনা জেলা জামায়াতের আমির ও পাবনা-৪ আসনের প্রার্থী অধ্যাপক আবু তালেব ম ল, নায়েবে আমির ও পাবনা-৫ আসনের প্রার্থী অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইকবাল হোসাইন, পাবনা-১ আসনের প্রার্থী নিজামীপুত্র ব্যারিস্টার নাজিবুর রহমান মোমিন, পাবনা-৩ আসনের প্রার্থী মাওলানা আলী আজগর ও জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক আবদুল গাফফার খানসহ জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।
বক্তব্য শেষে পাবনার ৫টি আসনে জামায়াতে ইসলামীর মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেন রফিকুল ইসলাম খান। পরে পাবনা-২ আসনের জামায়াতের সংসদ সদস্য প্রার্থী অধ্যাপক কে এম হেসাব উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি অনুষ্ঠানস্থল থেকে শুরু হয়ে পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদ গেটে গিয়ে শেষ হয়।