তুলা আমদানিতে দুই শতাংশ অগ্রিম আয়কর (এআইটি) প্রত্যাহার চেয়েছেন বস্ত্রকল মালিকরা। এ ছাড়াও দেশীয় টেক্সটাইল মিলে তৈরি কটন ও কৃত্রিম আঁশের সুতায় কেজিতে পাঁচ টাকা কর প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন তারা। গতকাল দুপুরে গুলশান ক্লাবের ক্রিস্টাল প্যালেস হলরুমে আয়োজিত বিশেষ সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সদস্যরা এ দাবি জানান। তারা বলেছেন, এই দুটি সিদ্ধান্ত দেশের স্পিনিং শিল্পকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে।
এ সময় বক্তব্য দেন বিটিএমএ সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল, সহসভাপতি সালেউদ্দিন জামান খান, পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন, হোসেন মেহমুদ, খোরশেদ আলম, রাজিব হায়দার প্রমুখ।
বিটিএমএ সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল বলেন, ‘সরকারের সব জায়গায় ব্যবসা করা উচিত না। এটা সরকারের মডেলও হওয়া উচিত না। যেমন-আপনি কি স্বাস্থ্য, শিক্ষা থেকে ব্যবসা করবেন? না, বহির্বিশ্বে এটা করে না। আজকে আমাদের সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থান ও বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করে টেক্সটাইল এবং আরএমজি। এ শিল্পের স্বার্থে তুলা আমদানিতে ও দেশি বস্ত্রকলে তৈরি কটন ও কৃত্রিম আঁশের সুতায় কর অব্যাহতি প্রয়োজন।’ বিটিএমএ পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘বস্ত্রকল মালিকরা মরে যাচ্ছেন। এমনিতেই নানান চ্যালেঞ্জের কারণে অধিকাংশ মালিক তাদের কারখানা বিক্রি করে দিতে চান। তার সঙ্গে নতুন করে এআইটি মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে যোগ হয়েছে।’
বিটিএমএ পরিচালক হোসেন মেহমুদ বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্কের কারণে ব্যবসায়ীরা দেশটি থেকে তুলা আমদানি বাড়ানোর বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছেন। এমন পরিস্থিতিতে দুই শতাংশ অগ্রিম আয়কর আরোপ করা হলো। ফলে ব্যবসায়ীরা যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা আমদানি বাড়ানোর পথে যেতে পারবেন না।’