অবিলম্বে বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের (বোয়েসেল) ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে প্রবাসী কল্যাণ ভবন ঘেরাও করেছেন দক্ষিণ কোরিয়া গমনেচ্ছু কর্মীরা।
বুধবার দুপুর ১২টার দিকে মানববন্ধন শেষে প্রবাসী কল্যাণ ভবনের প্রবেশ ফটক বন্ধ করে সামনের সড়কে অবস্থান নেন তারা। এর কিছুক্ষণ পর ভবন থেকে বের হওয়ার ফটকও বন্ধ করে দেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ব্লকেড কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
আন্দোলনকারীরা বলেন, ইপিএসের মাধ্যমে কোরিয়াতে লোক পাঠানোর ক্ষেত্রে দুটি মাধ্যমে কাজ করে বোয়েসেল ও এইচআরডি কোরিয়া। আমরা বোয়েসেল ও এইচআরডি কোরিয়ার ইপিএস পদ্ধতির কিছু যৌক্তিক সংস্কার চাই। এর মধ্যে বোয়েসেলের কর্মকর্তাদের অবহেলা ও অদক্ষতার কারণে চাহিদার চেয়ে অতিরিক্ত সার্কুলার দিয়ে রোস্টার করার ফলে হাজার হাজার রোস্টারভুক্তরা ডিলিট হয়েছে এবং ভবিষ্যতে ডিলিট হওয়ার পথে। পাস করা ও রোস্টারভুক্ত ২১ হাজার ভিসা ইস্যু প্রত্যাশী দুই বছর মেয়াদি রোস্টার ভুক্ত অপেক্ষমাণ।
তাদের অভিযোগ, গত ২৯ এপ্রিল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি করে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়। তবে সেই বিষয়ে কোনো ফলাফল পাওয়া যায়নি।
কোরিয়ান গমনেচ্ছু ইপিএস কর্মীদের ৩ দফা দাবি হলো :
১. অবিলম্বে বোয়েসেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন ও নির্বাহী পরিচালক মো. শওকত আলীসহ মহাব্যবস্থাপক (বৈদেশিক নিয়োগ) বিভাগের এ. বি. এম আবদুল হালিম এবং তার সংশ্লিষ্ট বৈদেশিক নিয়োগ শাখা ১ ও ২ এর সব ব্যবস্থাপক ও সহকারী মহাব্যবস্থাপক (আইটি) এর মো. নূরুল ইসলাম (কিরণ) এবং ইপিএস সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ব্যর্থতার দায় নিয়ে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করতে হবে।
২. ইপিএসের বর্তমান সংকট নিরসনে এবং ডিলিটকৃতদের পুনঃরোস্টার, ব্যাচভিত্তিক সাল ও সিরিয়াল অনুযায়ী ভিসা ইস্যু বৃদ্ধি ও ২১ হাজার কর্মীর স্বপ্নভঙ্গ ঠেকাতে রাষ্ট্রকে কূটনৈতিকভাবে সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে হবে। পাশাপাশি এসব বিষয় নিয়ে আমাদের ছাত্র-প্রতিনিধিদের সাথে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে দ্রুততার সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসতে হবে।
৩. বোয়েসেলের ফ্যাসিস্ট আমলের পুরোনো অনিয়ম ও অন্যায় কাঠামো ভেঙে ফেলে পুরো বোয়েসেল ব্যবস্থাকে নতুনরূপে সংস্কার করতে হবে।
বিডি প্রতিদিন/কেএ