মসজিদের ঈমাম, স্কুলের শিক্ষকও যেন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জাতীয় সংসদ সদস্য (এমপি) হতে পারে সে ব্যবস্থা চায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকের পর এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন অক্ষরে অক্ষরে বাস্তবায়ন করতে। ইসি থাকবে কি থাকবে না তা ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের উপর নির্ভর করবে।
নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, সংস্কার প্রক্রিয়ার মধ্যে যাচ্ছি। এই প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেন ইসিকেও নিয়ে যেতে পারি তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
গত তিনটি নির্বাচনে যে কর্মকর্তা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ছিল তাদের যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হয়। গত ১৫ বছরে যারা জড়িত ছিল তাদের যথাযথ শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা দেখতে চাই গ্রামের মসজিদের ঈমাম, স্কুলের শিক্ষকও যেন পার্লামেন্টে যেতে পারে সে ব্যবস্থা আনার দাবি জানিয়েছি।
গেজেট প্রকাশের ৪৮ ঘণ্টার সার্টিফিকেশন দিতে হবে যে নির্বাচন সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য হয়েছে। এতে পরবর্তী ইসিতে শান্তির আওতায় আনা যাবে।
অতীতে ঋণখেলাপীদেরও ভোটের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। আমরা বলেছি- এটা তদন্ত করে দেখে মামলার মধ্যে নিষ্পত্তি করার জন্য। তারা সম্মত হয়েছে।
২০ এপ্রিল রাজনৈতিক নিবন্ধনের আবেদন জমা দেওয়ার শেষ সময়। তবে এনসিপি গত বৃহস্পতিবার নব্বই দিন সময় বাড়ানোর আবেদন করেছে। এরপর এটাই ইসির সঙ্গে এনসিপি প্রথম বৈঠক করলো। বেলা সাড়ে ১২টা থেকে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে সিইসির সঙ্গে এনসিপির পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল বৈঠক করে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত